নোয়াখালী সুবর্ণচরে গবাদিপশুকে গাছের সাথে ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে,৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চরজব্বর থানা পুলিশ।এমন অমানুবিক ঘটনায় নিন্দা জানান এলাকাবাসী।
ঘটনাটি ঘটে ৩ অক্টোবর(সোমবার-২০২২ইং)সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চরজুবলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উত্তর কচ্চপিয়া গ্রামে।
ভুক্তভোগী উত্তর কচ্চপিয়া গ্রামের মৃত জালাল আহম্মদের পুত্র হাবিব উল্যাহ মিয়া(৫০)বলেন,২ অক্টোবর সন্ধ্যায় আমার একটি বেড়া ও একটি গাভীন ছাগল নিখোঁজ হয়,অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর একই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র নাসির উদ্দিনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি একেকবার একেক কথা বলেন এতে আমাদের সন্দেহ হয়।
পরদিন ৪ অক্টোবর(সোমবার)খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে নাসির উদ্দিনের ঘরের পাশে কালো গাভীন ছাগলটি গাছের সাথে ফাঁস লাগানো অবস্থায় এবং বেড়াটি পাশের জমিনে মৃত পড়ে আছে দেখতে পেয়ে আমরা ৯৯৯ ফোন করলে চরজব্বর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং নাসির ছাগলকে বেঁধে রাখার বিষয়ে স্বীকার করলে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।পরে জানতে পারলাম সমাধানের আস্বাস দিয়ে নাসির থানা থেকে চলে আসে।
হাবিব উল্যাহ আরো বলেন,এ পর্যন্ত সে আমার আরো গবাদিপশু মেরে পেলেছে,আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।
হাবিব উল্যাহর ছেলে নুরুল আমিন(২৭)বলেন,আগের দিন নাসিরকে ছাগলের কথা জিজ্ঞেস করলে সে ছাগলকে লুকিয়ে রেখে প্রতিবেশী অন্যান্য লোকজনের কথা বলে আমাদের বিব্রত করে।পরদিন তার ঘরের পাশে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ছাগলটি মৃত উদ্ধার করি।গবাদি পশু লালন পালন করলে মাঝে মাঝে কৃষকদের অগোচরে পাশাপাশি বাড়িতে যায়,যদি তার কোন ক্ষতি হতো আমাদের বলতে পারতো,নাসির কিন্তু সেটা না করে ছাগলকে ফাঁসি দিয়ে মারার মত অমানুবিক কাজের উপযুক্ত বিচার চাই।
এমন অমানুবিক ঘটনার জন্য নিন্দা জানান এলাকাবাসী
অভিযোগের বিষয়ে নাসিরের কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,ছাগল আমার গাছ পালা নষ্ট করবে মনে করে আমি ছাগলকে গাছের সাথে বেঁধে রাখি,এর পর আমি ভুলে যায় সারারাত বৃষ্টির হওয়ার কারনে ছাগলটি মারা যায়,তবে বেড়া কে মারছে সেটা আমি জানিনা। আমি তাদের ক্ষতি পূরণ দিয়ে দিবো।
চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ দেব প্রিয় দাশ বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,এসআই অমর্ত্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে