নড়াইলে পাঁচুড়িয়া সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও নানাবিধ অভিযোগ উঠেছে।
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের ৬৬ নং,পাচুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও নানাবিধ অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,পাচুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ হাসান আরিফ লিমন স্কুল চলাকালীন সময়ে যখন মন চায় তখনই তিনি বাড়িতে চলে যান। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রাইভেট পড়ান, ভালো রেজাল্ট করিয়ে দিবে বলেন তাহার কাছে প্রাইভেট না পড়লে ফেল করিয়ে দিবে বলে ও ভয় দেখান ওই শিক্ষক।
স্কুলের পাশে পাচুড়িয়া বাজারে ওই শিক্ষকের একটি দোকান রয়েছে ওখান থেকে খাতা,কলম ইত্যাদি ধরনের দ্রব্য সামগ্রী না কিনলে ওই সকল ছাত্র ছাত্রীদের ক্লাস চলাকালে বিভিন্ন অজুহাতে মারপিট করেন তিনি।
ওই দোকানে আরও দর্জি কাজের সাইড ও আছে ওখান থেকে স্কুল ড্রেস তৈরি না করলে তাদের কে আড় নজরে দেখেন এবং পড়ালেখা মনোযোগ সহকারে করান না।
অভিযোগে আরও উল্লেখ আছে বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে সকাল ৭ টা থেকে প্রাইভেট পড়ান। এবং যাহারা ওই শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়ে তাদের কে ক্লাসের সামনের বেন্সে বসান ও পরীক্ষায় বেশি নম্বর দেন।
ওই শিক্ষক মোঃ হাসান আরিফ লিমন এর বাড়ি একই গ্ৰামে হওয়ায়, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের কোন মূল্যায়ন করেন না তিনি। ও তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।
ওই শিক্ষকের দোকানে উঠতি বয়সী মেয়েরা গেলে তাদের সাথে প্রেম আলাপ করেন এবং গায়ে হাত সহ চুমো দেন। যে ছাত্র ছাত্রীর বাবা দূরদূরান্তে চাকরিতে থাকেন, বা বিদেশে থাকেন তাদের বাড়িতে গিয়ে দাওয়াত খাওয়া সহ তাদের মায়েদের কাছে আপত্তিকর প্রস্তাব দেন।
এলাকার সমাজ সেবক মুন্সি শরিফুল ইসলাম বলেন কিছু ঘটনা ঘটেছে, আমাদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের সুরক্ষার জন্য ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্ৰহন করে বিদ্যালয় সহ ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষক, অভিভাবকদের সন্মান বজায় রাখবেন বলে জোর দাবি জানান।
যে সমস্ত দপ্তরে লিখিত ভাবে অনুলিপি দিয়েছেন এলাকার লোকজন।
১/ মাননীয় মন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২/ সচিব প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ৩/ মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
৪/ মাননীয় জেলা প্রশাসক নড়াইল। ৫/পুলিশ সুপার নড়াইল। ৬/ জেলা শিক্ষা অফিসার নড়াইল। ৭/ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লোহাগড়া। ৮/ অফিসার ইনচার্জ লোহাগড়া থানা।
এবিষয়ে কয়েকজন অভিযোগকারীদের
সাথে সরেজমিনে গিয়ে সাংবাদিকদের কথা হলে তারা বলেন আমাদের কাছে নুর আলম এসে বললো এখানে একটা সই দেও তখন আমরা সই দিয়েছি, লিমন স্যার এর বিষয়ে কিছু জানি না।
এবিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে কথা হলে তিনি বলেন একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল সেটা মিমাংসা হয়েছে এবং কেউ কেউ অভিযোগ পত্যাহার করেছে।
এবিষয়ে শিক্ষক লিমন এর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন যা হয়ছিলো মিটে গেছে আপনারা কেনো আমার বাড়িতে আসলেন, এবং সাংবাদিকদের কোন বক্তব্য দিবেন না বলে জানান তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের চোখে পড়েন বড় একটি ঘর যে ঘরে শিক্ষক লিমন প্রাইভেট পড়ান।
এদিকে এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তিনি বলেন আমি উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে একটি চিঠি পেয়েছি যে আমার শিক্ষক লিমন এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত কমিটি আসবেন ২২/তারিখে।
এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাইফুজ্জামান খাঁন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে সত্যতা প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষক এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।