রিপোর্টারঃ মামুন মোল্যা,নড়াইল প্রতিনিধি
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাচুড়ী গ্রামে বিজ্ঞ আদালতের রায় উপেক্ষা করে সম্পত্তি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী লতিফ মৃধার ছেলে ফয়েজ ও ইকবাল মৃধার বিরুদ্ধে।পাঁকা রাস্তার উত্তর পাশে ৩১ চাচুড়ী মৌজার আর এস খতিয়ান ১৩১, আর এস ৩৩৩৮ নং দাগের ১১ শতক ও ৩৩৪০ নং দাগে ৩২ শতক জমিসহ মোট ৪৩ শতক জমি দীর্ঘ ৩০ বছর আগে নেওয়া দলিলমূলে খরিদ করে ফলজ গাছ লাগিয়ে ভোগদখলে আছেন ভুক্তভোগী শেখ আবুল হোসেন।তিনি ওই গ্রামের মৃত মুনছুর শেখের ছেলে।
১৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী শেখ আবুল হোসেন বলেন, বসতভিটার এই জমি দলিল সূত্রে ক্রয় করে দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত তিনি ভোগ দখলে আছেন। তার জমিসহ আরো অনেকের জমি থেকে মাটি কেটে জনগনের স্বার্থে রাস্তা করা হয়।অতঃপর ওই রাস্তার পাশে বনজ ও ফলজ গাছ লাগিয়ে ভোগ করে আসছেন তিনি।কিন্তু সম্প্রতি রাস্তার দক্ষিণ পাশে থাকা ইকবাল ও ফয়েজ মৃধা ওই জমি তাদের বলে দাবি করে এবং জোরপূর্বক গাছের নারিকেল নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ দিলেও তারা শোনেনি।অতঃপর বিজ্ঞ আদালতে মামলা করে তিনি রায় পান।অথচ আদালতের রায় তারা না মেনে তার স্ত্রীকে মারধরসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
চাচুড়ী ইউনিয়ের চেয়ারম্যান মেলজার ভূঁইয়া, ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিয়াজ বিশ্বাস,অভিযুক্ত ইকবাল মৃধার আপন বড় ভাই সহিদ মৃধা,সামাজিক ব্যক্তিত্ব ডহর চাচুড়ী গ্রামের নাজির মোল্যা ও অবঃ শিক্ষক মোঃ মোকসেদুল হক,এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,এ বিষয় নিয়ে পরিষদে বসা হলেও আবুল হোসেনের কোন জনবল না থাকায় সঠিক বিচার পাচ্ছেন না।প্রতিপক্ষরা শক্তিশালী হওয়ায় কোন রায় তারা মানছে না।আবুল হোসেন যাতে ন্যায্য বিচার পায়,সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
এ দিকে অভিযুক্ত ইকবাল মৃধার ছেলে রিয়াজ মৃধা উপরোক্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,সব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।