রিপোর্টারঃ মুলাদী প্রতিনিধি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া বিবিসি বাংলার স্বাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তৃণমুলে কর্মীদের সাথে সম্পৃক্ত,সৎ-নিষ্ঠাবান ও জনপ্রিয় ব্যক্তিদেরকে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে অগ্রাধীকার ভীত্তিতে মনোনয়ন দেয়া হবে।তিনি আর বলেন মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির নিতিনির্ধারনী ফোরাম বিভিন্ন মাধ্যমে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের বের করে তাদেরকে মনোনীত করবেন।তারেক রহমানের বক্তব্য অনুযায়ী মুলাদীতে জনবান্ধন,কর্মীবান্ধব,বিগত ১৭ বছরে আন্দলন সংগ্রামে অগ্রনী ভুমিকা পালনকারী,কর্মীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক,বর্তমান আহবায়ক কমিটির ১নং সদস্য, মুলাদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আঃ ছাত্তার খানকে এগিয়ে রাখছে সাধারণ ভোটাররা।
এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার জরিপেও জনপ্রিয় নেতা হিসেবে এগিয়ে রাখা রয়েছে আঃ ছত্তার খানকে। ১৯৮১ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রানীত হয়ে বিএনপির সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে যুক্ত হয়ে মুলাদী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মুলাদীর ছাত্রদলকে ঐক্যবদ্ধ করে সংগঠনকে শক্তিশালী করেন তিনি।
১৯৮৬-৮৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল মুলাদী উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৮-৮৯ সালে উপজেলা যুবদলের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ৯০এর স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজ পথে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ১৯৯৭ সালে মুলাদী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে মানুষের দেয়া প্রত্যক্ষ ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
২০০১ সালে মুলাদী পৌরসভা নির্বাচনে প্রথম মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
২০০৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মুলাদী উপজেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মুলাদী উপজেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন আলহাজ্ব আঃ ছত্তার খান। ২০০৯ সালে মুলাদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।পরিবর্তিতে তিনি বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন সহ গত ১৭ বছর বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেন। বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত হরতাল সহ সকল কর্মসুচি মুলাদীর মাটিতে বাস্তবায়ন সহ বরিশাল বিভাগীয় শহরের সকল কর্মসুচিতে অংশ গ্রহন করেন।
২০১২ সালে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচি চলো-চলো ঢাকায় চলো বাস্তবায়নে ঢাকার সদরঘাটে পুলিশ নির্যাতনের স্বীকার হয়ে কারাবরন করেন আলহাজ্ব আঃ ছত্তার খান।ফেসিস্ট আওয়ামী সরকারের দেয়া একাধীক মামলা ও হামলার স্বীকার হয়ে বিভিন্ন সময় কারাবরন করেন।
হাজার নির্যাতনের স্বীকার হয়েও তিনি কখনও মুলাদী-বাবুগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের থেকে দুরে থাকেননি,সব সময় তাদের পাশে থেকে সাহস দিয়ে গেছেন।তাই বর্তমানে এই জনবান্ধব নেতার উপরই ভরসা রাখতে চায় মুলাদী-বাবুগঞ্জ বিএনপির তৃণমুলের নেতাকর্মীরা।