উপমহাদেশের সমৃদ্ধ ও প্রাচীন সভ্যতার জনপদ হচ্ছে মুন্সীগঞ্জ।এখানে ঘটেছে অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা।বিখ্যাত ব্যক্তিদের জন্মও হয়েছে এখানে। বিভিন্ন অঙ্গনে রয়েছে তাদের নানা অবদান।এ দেশের সংগীত অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র আলাউদ্দিন আলী।সংগীত পরিচালক হিসেবে ইতিমধ্যে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।আলাউদ্দিন আলী ২৪ ডিসেম্বর ১৯৫২ সালে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বাঁশবাড়ী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।তার পিতা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সংগীতে শিক্ষা নেন।
বিভিন্ন চলচ্চিত্রে বেহালা বাজাতে গিয়ে সংগীত পরিচালনার উপর আগ্রহ সৃষ্টি হয় এই সংগীত পরিচালকের,১৯৭২ সালে দেশাত্মবোধক গান ‘ও আমার বাংলা মা’ গানের মাধ্যমে জীবনে প্রথম সংগীত পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার।তারপর বাংলাদেশ টেলিভিশনে নিয়মিত কাজ করলে একই বছর ‘সন্ধিক্ষণ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রথম সিনেমাতে সংগীত পরিচালনা শুরু করেন তিনি।এর আগে ১৯৬৮ সালের দিকে তিনি আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যন্ত্রসংগীত শিল্পী হয়ে কাজ করেন।এরপর প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবেও কাজ করেছেন।
তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।এছাড়াও তিনি গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৯), সুন্দরী (১৯৮০),কসাই এবং যোগাযোগ চলচ্চিত্রের জন্য সংগীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন।
তিনি এই পর্যন্ত প্রায় ৩০০টিরও অধিক চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালক হিসেবে ৭বার এবং শ্রেষ্ঠ গীতিকারসহ মোট ৮বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন।এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ হতো নানান সম্মাননা পেয়েছেন।
বিক্রমপুরের এই কৃতি সন্তান সংগীত কিংবদন্তী আলাউদ্দিন আলী ২০২০ সালের ৯আগষ্ট না ফেরার দেশে চলে গেছেন।তার মৃত্যুতে সঙ্গীত পিপাসুরা আজও শোকহত।