1. ezequielsreyes@gmail.com : admin :
  2. ezequielsreyes+wordpress@gmail.com : wpadmin :
সুনামগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে ৫৪৮পিস ভারতীয় শাড়ী,৭৫ পিস লেহেঙ্গাসহ ২জন গ্রেফতার। - দুরান্ত টিভি
December 4, 2024, 5:28 am
শিরোনাম :
পবিপ্রবিতে ভূয়া ফলক উন্মোচন করে বিতর্কিত ডিন নুরুল আমিন ইবির উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে নতুন নিয়োগ গোপালগঞ্জে ইউএনও কে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের ফুলের শুভেচ্ছা ও ক্রেষ্ট প্রদান দিনাজপুর সিমান্তে বিজিবি কর্তৃক মাদকদ্রব্য আসামি সহ আটক ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তি নওগাঁর নিয়ামতপুরে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন নওগাঁয় ফেনসিডিল সহ মাদক ব্যাবসায়ী আটক পিরোজপুরে মাদকবিরোধী ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় গোপালগঞ্জে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স লিমিটেড এর আঞ্চলিক সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালী আদাবাড়িয়া ইউনিয়নে বিএনপির উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত নিয়ামতপুর উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত 

সুনামগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে ৫৪৮পিস ভারতীয় শাড়ী,৭৫ পিস লেহেঙ্গাসহ ২জন গ্রেফতার।

স্টাফ রিপোর্টার
  • সময়: Thursday, August 17, 2023,
  • 45 Time View

স্টাফ রিপোর্টারঃ-সুনামগঞ্জের র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব-৯ সিপিসি-৩ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রাম থেকে অবৈধভাবে আমদানিকৃত ৫৪৮ পিস ভারতীয় শাড়ী,৭৫ পিস লেহেঙ্গা ও ২৫৫০ কেজি চা-পাতা সহ দুই চোরাকারবারীকে আটক করেছে।আটককৃতরা হলেন তাজুয়ার আফজাল শিহাব।তিনি হলেন ইব্রাহিমপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে ও নূর হোসেন হলেন একই গ্রামের মৃত আব্বাছ আলীর ছেলে।আটককৃত তাজুয়ার আফজাল শিহাব হলেন সুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার আপন ভাতিজা বলে জানান র‌্যাব ও এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট-২০২৩ইং ভোর রাতে সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার বাগানবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে মালামালসহ তাদের আটক করা হয়।অবৈধভাবে আমদানিকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মুল্য ৬ লক্ষ টাকা বলে জানায় র‌্যাব।আসামীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেও প্রতিকার পাননি সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ এমরান হোসেন।ইব্রাহিমপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র মোঃ এমরান হোসেনের দায়েরকৃত অভিযোগে একই গ্রামের মরহুম মোশাররফ হোসেন ময়না মিয়ার পুত্র সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজা,চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মোঃ আফজাল হোসেন ও আফজাল হোসেন ছানার পুত্র তাজুয়ার আফজলশিহাব’কে বিবাদী করা হয়েছিলো।ঘুষের বিনিময়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার আপন সহোদর মোঃ আফজাল হোসেন কে সদস্য সচিব করত: ২৬নং অপ্রয়োজনীয় নতুন পিআইসি অনুমোদন এবং অভিযোগকারী এমরান হোসেনকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার ভাই আফজাল হোসেন এর পুত্র তাজুয়ার আফজল শিহাব’কে সদস্য সচিব করত: সুরমা ইউনিয়নের ০১ নং পিআইসি প্রকল্প গঠনপূর্বক পাউবোর বরাদ্দ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন” বিষয়ে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করা হয়।গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দায়েরকৃত অভিযোগে প্রকাশ,চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার ভাতিজা মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে ২৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করিয়ে ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হাইকে সভাপতি ও চেয়ারম্যানের ভাই এবং তাজুয়ার আফজল(শিহাব)এর পিতা আফজাল হোসেন কে সদস্যসচিব করে সুরমা ইউনিয়নের ২৬নং নতুন পিআইসি অনুমোদন করত: সরকারী বরাদ্দ পকেটস্থ ও লুটতরাজ করে।অনুরুপভাবে ২০২১-২০২২ইং অর্থ বছরে গতবারের চাইতে দ্বিগুন বরাদ্দ দিয়ে,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ৪১নং পিআইসি গঠন করা হয়।এই পিআইসিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার প্রতিভূ শফিক মিয়াকে সভাপতি করা হয়েছে। হিললুয়ার হাওরের মধ্যে মাত্র ১২ ইঞ্চি উচু করে একটি বাঁধ মেরামতের কাজ করে সেখানে বরাদ্দ নির্ধারন করা হয় ১০ লাখ টাকা। কথিত পিআইসি এলাকার ডান পাশে মইনপুর টু ডলুরা এবং বামপাশে ইব্রাহিমপুর টু ডলুরা পাকা রাস্তা রয়েছে। দুইদিকে পাকা রাস্তা থাকায় ঔ হাওরে কোনভাবেই বৃষ্টির পানি প্রবেশের সুযোগ নেই।কিন্তু পাউবোর কর্মকর্তা কর্মচারীরা অন্যায় অজুহাতে লূটপাটের উদ্দেশ্যে কথিত এলাকায় ৪১ নং পিআইসি গঠন করে সরকারের বরাদ্দ লুটতরাজ করে।এলাকাবাসী এই পিআইসিকে ভৌতিক অপ্রয়োজনীয় ও চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার ব্যক্তিগত পিআইসি বলে অভিহিত করেছেন।এছাড়াও ভাতিজা শিহাবকে দিয়ে নদীর পাড়ে সরকারী খাস খতিয়ানের জায়গায় মোটর সাইকেল এর গ্যারেজ বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় ও গরীব মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ভিজিডি ও ভিজিএফ এর চাল কালোবাজারে বিক্রয়সহ নানাবিধ অভিযোগে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের ভাতিজা শিহাব।ইব্রাহিমপুর গ্রামবাসী চোরাকারবারের মূলহোতা চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজাকে অবিলম্বে ঐ মামলায় গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার মুঠোফোনে কল করলে র‌্যাবের হাতে আটককৃত শিহাব তার আপন ভাতিজা স্বীকার করে বলেন,আমার ভাতিজা বর্ডারহাটে ব্যবসা করে।তার হেফাজতে ভারতীয় মালামাল পেয়েছে বলে তাকে র‌্যাব আটক করেছে।ইব্রাহিমপুর গ্রামের নিরীহ নাগরিক গরীব মৎস্যজীবী আব্দুল হান্নান বলেন,আমরা ১০টি পরিবার ১৯৮৯ সালে সরকারের কাছ থেকে বাড়ী জমি বন্দোবস্ত পেয়েছিলাম। চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজা ও তার ভাতিজা আমাদের জমির দলিল চুরি ও জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে।আমরা আমাদের জায়গার দলিলগুলো উদ্ধারের জন্য র‌্যাবের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন,র‌্যাব ৯ সিলেটের অধীনস্থ সুনামগঞ্জ সিপিসি ৩ এর টহলদল ভারতীয় মালামাল জব্দসহ ২ জনকে পুলিশে সোপর্দ করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমার গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরও জমিন না মুজ্ঞুর করে কারাগরে পাঠানোর নির্দেশ প্রদাণ করেন।

এ ব্যাপারে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক এডিশনাল এসপি মতিয়ার রহমান বলেন,ভারতীয় মালামালসহ গ্রেফতারকৃত শিহাব ও নূর হোসেন নামের ২ যুবককে আমরা ইতিমধ্যে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছি।র‌্যাব জানায়,চেয়ারম্যানের ভাতিজা শিহাব সীমান্ত এলাকার সকল চোরাকারবারীদের গডফাদার হিসেবে কাজ করতো।সে সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়,চেয়ারম্যানের বাংলোঘর ও তাদের বাগানবাড়ীতে প্রচুর পরিমাণ ভারতীয় মালামাল মজুত করতো।ইতিপূর্বে ক্যাম্প কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সিঞ্চন আহমেদ ২ বার তাকে আটক করার চেষ্টা করেন।প্রতিবারই তার পক্ষে কোননা কোন গডফাদার তদবীর করতো।এবার র‌্যাব কোন তদবীরে সাড়া না দিয়ে সোজা মালামালসহ গ্রেফতার করে তাকে জেলহাজতে প্রেরন করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খরব
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা,ছবি,অডিও,ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। © All rights reserved © 2023
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host
x