পাটগ্রামে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ।ইতিহাস ঐতিহ্যের দেশ বাংলাদেশ।বাঙালির ইতিহাসে অনেকগুলো দিন রয়েছে তা আমাদের মনে রাখতে হয়।যেমনঃ শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস,ও বিজয় দিবস।এছাড়াও আরও একটি ঐতিহাসিক দিবস আছে যার নাম হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। এদিনটি একটি বাঙালি জাতির গৌরব উজ্জ্বল দিন।এই গৌরব উজ্জ্বল দিনে ডাক দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।তার ডাকে সমবেত হয়েছিল সর্বস্তরের জনগন।তাইতো ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান ভরে উঠেছিল কানায় কানায় জনসমুদ্রের স্রোতে।তখন ছিল মাঠে তাপদাহ অবস্থা।সকল জনগন তাকিয়ে ছিল কখন আসবে বাংলার দামাল সন্তান,বাংলার বাঘ,বাংলার মাটি ও মানুষের নেতা।সকলের চোখে যেন একই স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুকে দেখার জন্য তার মুখ থেকে কিছু বানী শোনার জন্য মুখরিত হয়ে উঠছিল ঐতিহাসিক ময়দান।যখন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে উপস্থিত হয় তখন সকলে স্বস্তি ফিরে পায়।ঐতিহাসিক’ মঞ্চে উপস্থিত হয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হয়েছি। আপনারা জানেন ও বোঝেন আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি।কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম,খুলনা,রাজশাহী,রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে।তিনি আরো বলেন আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়,বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়,বাংলার মানুষ তাদের অধিকার চায়। এই শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছিল রেসকোর্স ময়দান। তাইতো ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষন দিয়েছিলেন। ১০লক্ষাধিক লোকের সামনে পাকিস্তানি দস্যুদের কামান-বন্দুক,মেশিনগানের হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওইদিন বজ্রকন্ঠে ঘোষনা করেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তার ঐতিহাসিক ভাষন ইতিহাসের পাতায় নতুন দিক উন্মোচন করে।তাইতো জাতীয় পর্যায়ে ইউনেস্কো কর্তৃক এই ভাষনটিকে একটি ঐতিহাসিক ভাষন হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।এ ভাষনে একটি সুনির্দিষ্ট প্রবাহমান কথাগুলো বলা হয়েছে। প্রথমদিকে ইতিহাস সম্পর্কে, মাঝের দিকে অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে ও শেষের দিকে জনগণের দিক নির্দেশনামূলক বার্তা বহন করে।