রিপোর্টারঃ-নড়াইল প্রতিনিধি-নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের গাছবাড়িয়া এলাকা থেকে এক গৃহবধূর ম রদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।শুক্রবার (১৩ জুন)দুপুরের দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।ঘটনার পর থেকে ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছে।ওই গৃহবধূর নাম সালমা বেগম (৩০)।তিনি লোহাগড়া উপজেলার গাছবাড়িয়া গ্রামের সৈয়দ সাঈদুর রহমানের মেয়ে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া গ্রামের সালাম মোল্যার ছেলে সৌদি প্রবাসী শহীদুল ইসলামের মোবাইলে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে একই উপজেলার সাঈদুর রহমানের মেয়ে সালমা বেগমের।সেই সম্পর্ক গত ছয় মাস আগে সালমা আক্তারের প্রথম পক্ষের আট বছর বয়সী মেয়েসহ দ্বিতীয় বিয়ে করেন শহীদুল ইসলাম।তবে শহীদুলের আরেকটি বউ থাকায় বিয়ের পরও শ্বশুরবাড়িতে যেতে পারেননি সালমা। বাপের বাড়িতেই ঘর বেঁধে বসবাস করছিলেন তিনি।স্বামী শহীদুল মাঝেমধ্যে সেখানে এসে থাকতেন।প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে শহীদুল তার গ্রামের বাড়ি উপজেলার ডহরপাড়া গ্রামে বসবাস করতেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেও শহীদুল সালমার বাড়িতে আসেন।রাতে সেখানেই ছিলেন।আজ শুক্রবার সকালে পরিবারের লোকজন সালমার বাড়িতে গেলে সালমা বা তার স্বামী কাউকে দেখতে পাননি।একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে বাড়ির সামনে ঝোপঝাড়ের মধ্যে পড়ে থাকা সালমার মরদেহ দেখতে পায় আশেপাশের লোকজন। মরদেহ দেখতে পেয়ে স্বজন ও স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।খবর পেয়ে নলদী পুলিশ ফাঁড়ি ও লোহাগড়া থানা পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়।
সালমার ছোট বোন আছমা বেগম অভিযোগ করে বলেন,শহীদুলই আমার আপাকে মেরে বাড়ির সামনে রেখে পালিয়েছে।আমরা শহীদুলের ফাঁসি চাই।
শুক্রবার বিকেলে লোহাগড়া থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন,প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে,পারিবারিক কলহের জেরে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে।নারীর স্বামী পলাতক রয়েছে।মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।