নড়াইলে একতা ক্লিনিকে রোগীর জীবন নিয়ে চলছে প্রতারনা।
নড়াইলের লোহাগড়া পৌর শহরের জয়পুর এলাকার একতা ক্লিনিকে অদক্ষ নার্স দিয়ে সেবা করাই শালনগর ইউনিয়নের ঝাউডাঙ্গা গ্রামের রোগী রিয়া বেগমের(২০)বেহাল অবস্থার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রিয়া বেগম বলেন, গত শনিবার ১৩ই আগষ্ট সিজারের পেশেন্ট হওয়াই সকালে একতা ক্লিনিকে আমি ভর্তি হই।ওই দিন সকাল ৮সাড়ে টার সময় আমাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ডা.আব্দুল্লাহ আল মামুনকে দিয়ে সিজার করা হয় এবং আমার একটি কন্যা সন্তান হয়।
এরপর ওই ক্লিনিকের নিয়ম অনুযায়ী আমাকে ৬ দিন রাখা হয় এবং অদক্ষ নার্স দ্বারা সেবা দেওয়া হয়। ৬দিন পরে ক্লিনিক মালিক মিজানুর রহমান বলেন,আমাদের এখানে আরো কিছু দিন থাকতে হলে প্রতিদিন ১হাজার টাকা করে দিতে হবে।নাহলে বাড়িতে গিয়ে বা অন্য কোথাও চিকিৎসা করান।
আমার পিতা- মাতা গরীব হওয়াই বাড়িতে নিয়ে চলে আসে এবং ১৯সে আগষ্ট আমার ইউনিয়নের মন্ডলবাগ বাজারে পল্লী চিকিৎসকের কাছে ড্রেসিং করানোর জন্য নেওয়া হলে পল্লী চিকিৎসক বলেন, আপনার এখানেতো ইনফেকশন হয়েছে।এটা তো ভালো করে সেলাই ও করা হয়নি।এটা আমি ড্রেসিং করতে পারবো না ।
এ বিষয়টি ক্লিনিক মালিকে তাৎক্ষণিক বল্লে,তিনি প্রথমে বলেন আমরা কি করবো।পরে আমি এবং আমার মা সাংবাদিকদের বিষয়টা বল্লে,ক্লিনিক মালিক জানতে পেরে ফোন করে আমাদের অনুরোধ করে ক্লিনিকে আসতে বলে এবং সকল খরচ তারা বহন করবে বলে।এবিষয়ে রিয়া আরো বলেন,এখন আমার অবস্থা খুবই খারাপ আমি এটার সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে রিয়ার মা বলেন ,এ ধরনের কাজ যাতে আর না করে এই সব ক্লিনিক মালিকরা ও আমার মেয়ের মতো অন্য কারও সঙ্গে না হয়।আমি এটার সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয় ক্লিনিক মালিক মিজানুর রহমান কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে,তিনি নড়াইল জেলা বীরমুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ কবির আহম্মেদকে দিয়ে সাংবাদিকদের নিউজ না করার জন্য বলেন।
এ বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,সিজারটি আমিই করেছি।সিজার করলে রোগীর ইনফেকশন হতেই পারে।এবিষয়ে রোগীর লোকজন বা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আমাকে কিছু বলেনি।
এ বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী বলেন,এ ধরনের ঘটনা একতা ক্লিনিকে প্রায়ই এরকমের ঘটনা ঘটে।সেবার নামে টাকা ইনকাম করায় তাদের মূল উদ্দেশ্য।এসময় ওই ক্লিনিকে অদক্ষ নার্স ধারা এ ক্লিনিক পরিচালনা করা হয় বলে ও জানা গেছে।
এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও এসএম মাসুদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
মোঃ আজিজুর বিশ্বাস-নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।
Mobile No:–01920281787-01705193030