সিলেট শহরতলীর শাহপরাণ (রহঃ) থানা এলাকার পূর্ব শাপলা ভাগ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল কায়ছান মাহমুদের বিরুদ্ধে এক নারীর সঙ্গে বিয়ের নামে প্রতরণা এই ঘটনায় পুরো সিলেট জুড়ে ব্যাপক তুলকালাম সৃষ্টি হয়েছে।এমন গুরুত্বর অভিযোগ এনে সোমবার (২৮নভেম্বর) শাহপরাণ (রহঃ) থানায় গোয়াইনঘাট থানাধীন উত্তর বিছনাকান্দি গ্রামের মৃত লোকমানের মাহমুদের পুত্র ও বর্তমানে উক্ত শাহপরান (রঃ)থানাধীন পূর্ব শাপলাবাগ এলাকার এক মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল কায়ছান মাহমুদ (৩২) এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে- নারী লোভী অভিযুক্ত কায়ছান মাহমুদ এই নারীর সঙ্গে মিথ্যা প্রেমের অভিনয় ও তাকে বিভিন্ন রকমের প্রলোভন দেখিয়ে অভিযোগের সাক্ষীগণের সম্মুখে শরীয়হ সম্মত এই নারীকে বিয়ে করে।বিয়ের পর প্রায় দেড় মাস এই নারীর সঙ্গে ঘর-সংসারও করে কায়ছান মাহমুদ। তাদের সংসার জীবনে এই নারীর ওসমানী মেডিকেলে চাকুরী করাটা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারেন নি স্বামী কায়ছান মাহমুদ বিধায় তাকে চাকুরী ছাড়তে বাধ্য করে সে।
এমতাবস্থায় এই নারী কায়ছান মাহমুদ কে তাদের বিয়ের কাবিননামা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময় কালযাপন করতে থাকে এবং ওই নারীকে পরবর্তী সময়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কায়ছান জানায় ৩০হাজার টাকা তাকে সে দিয়ে দিবে এসব বিয়ে কিংবা কাবিননামা করার প্রয়োজন নাই এমনকি তাদের এই বিয়ের বিষয়টি এখানেই সমাপ্ত করার জন্য বলে সে।তার এমন কথাবার্তা শুনে প্রায় দিশেহারা হয়ে এই নারী তাৎক্ষণিক ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদের নিকট প্রাথমিকভাবে বিচার প্রার্থী হয়। বিষয়টি মীমাংসার স্বার্থে আজাদুর রহমান আজাদ অভিযুক্ত কায়ছান মাহমুদকে ডাকলে সে ওই রাতে কৌশলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়।
সেখানেও কোন সঠিক সিদ্ধান্ত না পেয়ে পরদিন ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে শাহপরান(রঃ)থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে শাহপরাণ(রহঃ)থানার(ওসি-তদন্ত)ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য রাজন জানান- আমরা বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করছি। তদন্তসাপেক্ষে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমরা আইননুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি প্রতিবেদককে আশ্বাস প্রদান করেন।