রিপোর্টারঃ রবীন্দ্রনাথ সরকার রিপন–দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষ করে সকল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (৮০টি) লাইনক্রূগণ এক যোগে বিদ্যুৎ সম্পর্কিত সকল দপ্তরে চিঠি প্রেরণ করেছে। চুক্তির বেড়াজাল ভেঙে চাকুরী নিয়মিত করণ তাদের একমাত্র দাবী-২০১৯ সালে শোকের মাস, আগষ্ট মাসের পর থেকে,ধাপে ধাপে প্রায় ৪০০০(চার হাজার) জনেরও বেশী চুক্তিভিত্তিক লাইনক্রূ নিয়োগ দিয়েছে আরইবি।একই রকম কাজ করে নিয়মিত লাইনক্রুগণ যেখানে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন, চুক্তিভিত্তিকগণ সেখানে প্রতিনিয়ত অবহেলিত।তাছাড়া, জীবন ঝুঁকির এই কাজে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ করেও আর্থিক সহযোগিতা পায়না এসব চুক্তিভিত্তিক বিদ্যুৎ যোদ্ধাগণ।
নিয়মিত করণের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ বিচ্ছিন্ন ভাবে চিঠিসহ নানান ভাবে যোগাযোগ করেও বাংলাদেশ বিদ্যুৎতায়ন বোর্ডের সাড়া পায়নি বলে জানিয়েছেন তারা।তাই প্রথম ধাপে এবার সকল পবিস থেকে একযোগে চিঠি প্রেরণ করেছেন।এই প্রেক্ষিতে আরইবি থেকে কোন সদউত্তর না দেওয়ায় আরো বিক্ষীপ্ত হচ্ছেন এই লাইনক্রূগণ।
দাবী আদায়ে,পরবর্তীতে তারা কর্মবিরতী দেওয়ারও কথা বলেছেন।আবারো, ২০২৩ সালে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার নীল নকশা করেছে আরইবি।যেখানে সকল মেধাবী বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে সার্কুলার দেওয়া হয়েছে মৃত্যুঝুকির এই চাকুরীতে।
বর্তমানে বাজার পরিস্থিতি সহ অন্যান্য সব দিক মিলিয়ে তারা কেটে উঠতে পারতেছে না।এহেন অবস্থায় তারা সম্মিলিত হয়ে আরইবি কে তাদের দাবীর কথা জানিয়েছে। দাবী তাদের একটাই একই কাজে ত্রৈমাত্রিক শাসন ব্যবস্থা থেকে মুক্তি।বৈষম্য মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে জরুরি বিদ্যুৎ বিভাগে যা বিশ্বের মধ্যে নজিরবিহীন।
তাদের কর্মসূচী চড়াও না করতে চাইলে নিয়মিত এখন সময়ের দাবী।অন্যথায় তারা দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ও অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি দিবেন বলে জানায়।এতে করে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহে চরম সংকট দেখা দিতে পারে।তাই সকল চুক্তিভিত্তিক লাইনক্রুগণ তাদের চাকুরী নিয়মিত করণের জন্য আরইবি চেয়ারম্যান মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।