রিপোর্টারঃ সোহেল হোসেন–লক্ষ্মীপুর কমলনগরের আব্দুল মালেকের বসত বাড়ীতে দফায় দফায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও আশরাফের নেছা নামে এক বৃদ্ধ নারী সহ ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।এসময় নগদ টাকা ১.০০০০/এক লক্ষ টাকা সহ স্বর্ণালংকার লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার (০৯ই জুন)বিকাল ০৫:৩০ মিনিটের সময় কমলনগর ৯নং তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ফাজিল ব্যাপারী হাটের পাশে আব্দুল লতিফ বাড়িতে প্রবাসী আব্দুল মালেকের বসত বাড়িতে ইউপি সদস্য কামালের নেতৃত্বে একদল লোক এ ঘটনা ঘটায়।এটি ডাকাতি বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।এদিকে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও গ্রাম পুলিশ আলমগীর, আজাদ,মালেক সহ আব্দুল লতিফের বাড়িতে হামলাকারী ৪জনকে আটক করে।পরে আটক ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে নিতে এসে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত ২০-২৫ জনের কামাল মাঝি একদল লোক ভোরে ফের হামলা চালায়।আহতরা হলেনআশরাফের নেছা.আব্দুল মালেক,মোসলেউদ্দিন,আসমা,কুলসুমা. নিশু.আমেনা.আজাদ,রিনা শিমু আহত হয়।পুলিশ ও ভূক্তভোগীরা জানায়, ঘটনার সময় ২০-২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী কামাল মাঝির নেতৃত্বে আশরাফের নেছা বসত বাড়ীতে ঢুকে পড়ে।ওই সময় কুলসুমা ও শিমু আক্তার গলা-কান থেকে স্বর্ণের চেইন-দুল ও আংটি ছিনিয়ে নেয়।এই সময় বাধা দিলে শিমুকে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে।তাদের চিৎকারে আশপাশের স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীরা কামাল মাঝে কে নিয়ে যাই ঘরে থাকা নগদ ১ এক লাখ টাকা,২টি পাসপোর্টও নিয়ে যায়।স্থানীয়রা জানায়, প্রতিবেশি মালেক সঙ্গে কামাল মাঝির ১৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা চলমান।এর জের ধরেই কামাল মাঝি ভাড়াটে লোকজন এনে মালেকের বাড়ীতে হামলা চালাই।হামলাকারীদের মধ্যে কামাল মাঝি ঘটনাটি স্বীকার করেছে।
আশরাফের নেছা বলেন,ইটভাটার শ্রমিক থেকে এখন ইউপি সদস্য কামাল মাঝির বিভিন্ন সময়ে আমার ছেলের বউদেরকে খুব প্রস্তাব দিয়ে থাকে জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় উভয়পক্ষের আদালতে মামলা চলমান।পরিকল্পিতভাবে কামাল আমাদের বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে।২টি পাসপোর্ট নিয়ে গেছে ডাকাতরা।কামাল নির্দেশেঅভিযোগ অস্বীকার করে শিরিন বলেন, আমার মামা কামাল ঘটনার স্থলে পরে এসেছে আমি ঘরে পাগল পালি সমাজের সবাই আমাকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করে থাকে।আমার বাবার কেনা ১৮ শতাংশ জমি আজাদ ও তার বোনেরা দখল করেছে।এনিয়ে আদালতে মামলা চলছে।হামলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।যারা হামলা করেছে তাদেরকেও আমি চিনি না।
ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল বলেন-‘ কামাল মেম্বারের নারী গঠিত বিষয় আমি জেনেছি, একটা সালিশও করেছি। আব্দুল লতিফের বাড়িতে গিয়ে মারামারির ঘটনাটি শুনেছি
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সোলেমান বলেন,জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলা ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় দুই পক্ষে আদালতে মামলা করেছে ঘটনাটি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে