মোংলা বন্দর ব্যবহার বিষয়ক চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে প্রথমবার ভারতের কলকাতা বন্দর থেকে আসা জাহাজ এমভি রিশাদ রাইহানের ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহন) করা হয়েছে মোংলা সমুদ্র বন্দরে।
সোমবার (০৮ আগস্ট) সকালে মোংলা বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজটির (পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহনর) ট্রয়াল রানের উদ্ধোধন করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা। অনুষ্ঠানে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ইনডার জিৎ সাগর, মোংলা বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদারসহ দুই দেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ভারতের সাথে এসিএমপি প্রটোকল চুক্তির আওতায় এ বছরের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত ১৩তম ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট গ্রুপ অফ কাস্টমস (জেএসসি) বৈঠকে জাহাজে আসা পণ্য ট্রায়াল রান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তে ভারতের কলকাতা বন্দরে ও বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে ৪টি ট্রায়াল রান (পরীক্ষামূলক পণ্য পরিবহন) হওয়ার কথা রয়েছে। ভারতের কলকাতা বন্দরে ইতিমধ্যে একটি ট্রায়াল রান শেষ করেছে।
এই চুক্তির আওতায় ভারতীয় পণ্য নিয়ে আসা জাহাজে সোমবার সকালে প্রথম ট্রায়াল রান করা হয় মোংলা বন্দরে। মোংলা বন্দরে প্রথম ট্রায়াল রান ভারত থেকে জাহাজে করে আসা পণ্য মোংলা-তামাবিল এবং মোংলা-বিবিরবাজার (কুমিল্লার স্থলবন্দর) রুটে ব্যবহার করবে। আমদানি-রপ্তানির বাণিজ্যের ট্রায়াল রানের এই জাহাজটিতে মার্কস লাইনের ২টি কন্টেইনারের মধ্যে ১টি কন্টেইনারে ইলেক্ট্রোস্টিল কাস্টিংস লিমিটেডের ৭০ প্যাকেজে ১৬.৩৮০ টন লোহার পাইপ ও অন্য কনটেইনারে ২৪৯ প্যাকেজে ৮.৫ টন প্রিফোম রয়েছে। ভারতীয় এসব পণ্য নিয়ে জাহাজটি সোমবার (৭ আগষ্ট) মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। জাহাজটির সিএন্ডএফ হিসাবে সুইফট লজিস্টিক সার্ভিসিসেস লিমিটেড কাজ করছেন।
ভারতীয় পণ্য নিয়ে আসা জাহাজটির ট্রায়াল রান অনুষ্ঠানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, এই প্রোটোকল রুটে অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার বাংলাদেশ ও ভারত-পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে গতি বাড়াবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে অর্থনীতি এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এই ট্রয়াল রানের মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতের সাথে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে মাইলফলক সৃষ্টি হলো। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশের সাথে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।