মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে এখন লোকবল সংকটে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৯টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে।এর মধ্যে ৮টি নিজস্ব ভবন ও ১টি ভাড়া করা ভবনে চলছে চিকিৎসা সেবা।৮টি নিজস্ব ভবনের মধ্যে আবার ২টি ভবন জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।কনকসার ও গাঁওদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি ব্যবহারের অনুপযোগী।
লৌহজং-তেউটিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি ভাড়া করা ভবনে চলছে চিকিৎসা সেবা প্রদান।উপজেলার নেই মেডিকেল অফিসার ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।শ্রীনগর উপজেলা থেকে ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার হিসেবে ডা.বিলকিস ও সিরাজদিখান উপজেলা থেকে ভারপ্রাপ্ত সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে আরাফাত জরুরী কোন কাজ বা মিটিং থাকলে তাঁরা আসেন নতুবা তাদের কে পাওয়া যায় না।গতকাল রোববার সরজমিনে বৌলতলী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র গিয়ে দেখা যায় পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মমতাজ আক্তার চিকিৎসা দিচ্ছেন।পাশের দেয়ালে বড় বড় অক্ষরে লেখা সোমবার ও বুধবার অন্য দুটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শনে যান।লোকবলের অভাবে সপ্তাহে ৩ দিন এই কেন্দ্র বন্ধ থাকে।
এমনটি জানিয়েছেন মমতাজ আক্তার ।উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায় ,১১১টি পদের মধ্যে ৫৮টি পদ শূন্য রয়েছে।উপজেলা পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ১টি পদের মধ্যে ১টি পদ শূন্য,মেডিকেল অফিসার ২টি পদের মধ্যে ১টি পদ শূন্য, সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ১টি পদের মধ্যে ১টি পদ শূন্য, অফিস সহকারী ১টি পদের মধ্যে ১টি শূন্য,উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ৭টি পদের মধ্যে ৪টি শূন্য,পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ১১টি পদের মধ্যে ৭টি পদ শুণ্য,পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক ১০টি পদের মধ্যে ১টি শূণ্য, পরিবার কল্যাণ সহকারী ৪৮টি পদের মধ্যে ২৯টি পদ শুণ্য , নিরাপত্তা প্রহরী ৯টি পদের ৭টি শূণ্য, আয়া ১১টি পদের মধ্যে ৫টি পদ শুণ্য রয়েছে।