ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়াডে ৭ বছরের এক শিশু কে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।এ ঘটনায় শিশুর পিতা ভোলা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শিশুর পরিবার সূত্রে জানা যায়,গত শুক্রবার (১৮ নভেম্বর)দুপুর ১২টায় ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়াডের গুপ্ত মুন্সী গ্রামের বাসিন্দা সাবেক মেম্বার মোঃ রহমান এর বাবা আব্দুল বারেক হাওলাদার একই গ্রামের বাসিন্দা মোঃ দুলাল এর মেয়ে মাইমুনা(৭)কে বাড়ির পাশেই অবস্থিত পানের বরজের ভিতরে ডেকে নিয়ে দর্শনের চেষ্টা করেন।ঠিক সেই মুহূর্তে শিশুটির মা শিশুটাকে খুঁজতে খুঁজতে পানের বরজের দিকে আসতে থাকে,তখনই অভিযুক্ত আব্দুল বারেক শিশুটিকে ছেড়ে দেয়।ছেড়ে দেওয়ার সাথে সাথে শিশুটি দৌড়িয়ে তার মায়ের কাছে চলে যায়।
শিশু মাইমুনা সংবাদকর্মীদের বলেন,আমারে ক্ষেতের মইধ্যে নিয়ে আমারে প্যান্ট খুলছে।তারপর আমার প্রসাবের জায়গা দিয়া হাত দিয়া বইসা রইছে।কিছু পরে আমার আম্মু আমারে বোলান দিছে।পরে বেডায় কয় কি আল্লা যা যা ধান ক্ষেতে পাখি উড়া।পরে আমি পাখি উড়ায়া মার ধারে গেছি দৌড়ায় দৌড়ায়া,মায় কয় কি তুই এমন হইছোস কিয়ারে।পরে আমি কই কি আলাদার নানা প্যান্ট খুলতে কইছে,প্যান্ট খুইলা আমার প্রসাবের জায়গায় হাত দিছে।পরে তুমি আমারে বোলান দিছো পরে আমারে ছাইড়া দিছে।
শিশুর মা নাজমা বেগম বলেন, দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মেয়ে কে গোসল করানোর আগে বিলের ধারে কবুতর পাহারা দেয়ার জন্য পাঠিয়ে দিয়ে আমি ছোট বাচ্চার চুল পালাইছি।তারপর ঘরের অন্যান্য কাজ শেষ করে মাইমুনাকে গোসল করানোর জন্য ডাকাডাকি করছিলাম।ডাকাডাকি করে কোন সারা শব্দ না পেয়ে বিলের মধ্যে যাইয়া দেখি ধান ক্ষেতের মধ্য থেকে ও দৌড়িয়ে আসতেছে,আর ওই ব্যাটায় ওখানে বসে আছে।আমি আমার মেয়ের কাছে পুরো বিষয় শুনে ওখানে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম বারেক হাওলাদার কে জিজ্ঞেস করার জন্য।কেন সে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে এ কাজ করলো।সে আমার সাথে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে পারে এই ভয়ে আমি আর তাকে কিছু জিজ্ঞাস করি নি।আমি তার ভাতিজার কাছে বিষয়টি খুলে বললাম।আমি এর কঠিন বিচার চাই।
এই বিষয়ে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন জানান,ঘটনাটি আমাকে স্থানীয় মেম্বাররা জানিয়েছে।আমি ভুক্তভোগী পরিবারকে আইনের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক তথ্য উদঘাটন করে দায়ীদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্তর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মুঠোফোনে তার ছেলে সাবেক মেম্বার রহমান হাওলাদার বলেন বিষয়টি মিথ্যা এবং বানোয়াট।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (অপারেশন)রেজাউল করিম রাজিব জানান , বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।