রিপোর্টারঃ এস এম জহিরুল ইসলাম–বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেছেন,বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন তাকে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী হওয়ার মর্যাদা দিয়েছে।মানুষের জন্য তার সমগ্র উৎসর্গ করেছেন।ঐক্যজোট চেয়ারম্যান বলেন,আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও তার কর্মের স্বচ্ছতার কারনে যে কোন অপশক্তির মোকাবেলায় তিনি ছিলেন বিশ্বের হাতেগনা ৪/৫জন রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম একজন।সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র থাকাকালীন তার গৃহ শিক্ষক ছিলেন কাজী আব্দুল হামিদ এস এস সি।সেই শিক্ষক ছিলেন একজন স্বাধীনতায় বিশ্বাসী মানুষ।বঙ্গবন্ধুকে তিনি ব্রিটিশের শোষণ নির্যাতনের কাহিনী শুনাতেন।স্বাধীনতা সংগ্রামীদের গল্প বলতেন।সেই কিশোর বয়স থেকে বঙ্গবন্ধু নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ায় নানান কল্পনা করতেন।একটি সচেতন,ধার্মিক একই সাথে অসাম্প্রদায়িক পরিবারে জন্ম ও পালিত হওয়ার কারনে একজন প্রকৃত মানুষ,সংগ্রাম,রাজনীতি,ধর্মচর্চা সবকিছু বিশ্বের সকল মুক্তিকামী শোষিত মানুষের প্রেরন।তার দর্শন ছিল গোলাম নয় আজাদী।তার কর্মপন্হা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্য প্রেরনা।
আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে তিনি মাথা নত করেন নাই।তিনি আমাদেরকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়ে দিয়ে গেছেন।জাতীয়তাবাদের মন্ত্রে শিক্ষা দিয়েছেন।মায়ের ভাষার সম্মান প্রতিষ্ঠা করেছেন।এক ঝাঁক সহকর্মীদের এক সুতায় বেঁধে রেখেছেন এমনকি সমগ্র বাংলাদেশের মানুষকে সেই বাঁধনে ঐক্যবদ্ধ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে গড়তে উদ্ভুদ্ধ করেছিল।সর্বশেষ পাকিস্তানি জান্তার হাতে গ্রেফতারের কয়েক ঘন্টা আগে স্বাধীনতার ঘোষনা প্রদান করে ফাঁসির মঞ্চের দিকে এগিয়ে গেছেন।৭মার্চের ভাষনে যে দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন তার পথ ধরে তার সহকর্মীরা নয় মাস মুক্তিুযুদ্ধা পরিচালিত করেছেন।সেই মহান নেতা আমাদের জাতির পিতা।সাম্রাজ্যবাদীদের এ দেশীয় দালালরা তাকে স্ব পরিবারে হত্যা করেছে।বেঈমানের মনে রাখতে হবে জীবিত শেখ মুজিব থেকে শহীদ শেখ মুজিব আরও শক্তিশালী।ইসলামী যুবজোট নেতাদেরকে তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনি পড়।গবেষনা কর,দেখবে সত্য প্রকাশে তোমরা হবে অগ্রপথিক। ত্যাগ স্বীকারে তোমরা হবে অগ্রসেনা।মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন,বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা পিতার দেখিয়ে যাওয়া পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।পরাশক্তি সাম্রাজ্যবাদীরা হতবাক হয়ে বাংলাদেশকে দেখছে।হাত পাতার পরিবর্তে আত্মনির্ভশীলতার মন্ত্রে দেশের মানুষকে তিনি দিক্ষিত করেছেন।লোভ লালসা পদ পদবী পদদলিত করে দেশকে মর্যাদাশালী দেশ হিসাবে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করেছেন।সেই শোষক গোষ্ঠীর দেশীয় বেঈমানেরা তাকে বারবার হত্যা করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।গোয়েবেলসী কায়দায় মিথ্যাচার করছে।তাকে সরিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র ও অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পরিবর্তে ব্যর্থ জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিনত করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।বঙ্গবন্ধুকে জাতীর পিতা অস্বিকার করেছে।তাদেরকে বলতে চাই বাংলাদেশের জাতির পিতা শেখ মুজিব বেঈমানদের পিতা দাউদ ইব্রাহিম। ৮আগষ্ট ২০২৩ইং মঙ্গবার সকালে ঢাকার ধানমন্ডি স্টার কাবাব কনভেনশন হলে বাংলাদেশ ইসলামী যুব জোট এর উদ্দোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও দর্শন শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির ভাষনে একথা বলেন।যুব জোটের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ সাঈদ হাসান জুয়েলের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট এর যুব বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আমজাদ হোসাইন ঢাকা মহানগরের সভাপতি আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মোশাররফ হোসেন মাহমুদ,রুর্যাল জার্নালিষ্ট ফাউন্ডেশন(আরজেএফ)চেয়ারম্যান এস এম জহিরুল ইসলাম,ইসলামী যুবজোটের সাধারন সম্পাদক এজাজ আহমদ,সৈয়দ আরিফ হোসাইন,সৈয়দ আরিফ হোসাইন,সহ সভাপতি আব্দুল মালেক ববুতা,সৈয়দ আশ্রাফ হোসাইন,,যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান(রানা)মোঃ স্বপন আহমদ,আরমান হোসেন(অনি)সহ যুবজোট নেতৃবৃন্দ।