বগুড়ায় ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে সাইদুরকে হত্যা করেন মোঃ মাসুদ ওরফ ফারুক।গ্রেফতারের পর সে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন)স্নিগ্ধ আখতার এক প্রেস কনফারেন্সে এই তথ্য জানান।গ্রেফতারকৃত ফারুক শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক কেকারপাড়া গ্রামের হানজালা প্রামাণিকের ছেলে এবং সে স্থানীয় একটি রড সিমেন্টের দোকানে কাজ করেন।এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কেকারপাড়া মোলামগাড়ী রাস্তার পাশ থেকে সাইদুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।পেশায় গ্রিল মিস্ত্রি নিহত সাইদুর কিচক ইউনিয়নের বেলাই গ্রামের শাহাদত হোসেন সাদ এর ছেলে।প্রেস কনফারেন্সে স্নিগ্ধ আখতার বলেন,সাইদুর এবং ফারুক পূর্ব পরিচিত। তারা এক সাথে ঘোরাঘুরিও করতো।শনিবার সকালে সাইদুরের মরদেহ উদ্ধারের পর দুপুর ১২টার দিকে কেকারপাড়া নিজ বাড়ি থেকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ফারুক হত্যার কথা স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃত ফারুকের বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান,সাইদুর বিভিন্ন সময় অহেতুক ফারুককে গালিগালাজ করতো।তার সাথে বিভিন্ন সময়ে বাগবিতণ্ডাও হয়েছে।শুক্রবার রাতে কেকারপাড়া গ্রামের ধানক্ষেতের পাশের রাস্তায় কালভার্টের উপরে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন সাইদুর।এমন সময় হঠাৎ করে সেখানে ফারুকের সাথে দেখা হয়ে যায়।এসময় তাদের মধ্যে আগের ক্ষোভের কথা উঠে এবং আবারও তারা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।এক পর্যায়ে ফারুকের কাছে থাকা চাকু দিয়ে সাইদুরের শরীরে একাধিক আঘাত করে।এতে সাইদুরের মৃত্যু হলে ফারুক সেখান থেকে পালিয়ে যায়।শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মনজুরুল আলম বলেন,সাইদুর খুনের ঘটনায় ফারুককে একমাত্র আসামি করে নিহতের বড় ভাই সোহেল রানা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।আমরা তদন্তের জন্য ফারুককে আরও জিজ্ঞসাবাদ করবো।