আজক্যা যদি এই কারেন্টের তারগুলাত কভার দেয়া থাকিল হয় তাহলে কী আর আজক্যা মোর গোয়ালখালি হয়,? আজক্যা এই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কারণে মোর গোয়ালখালি হইল।এভাবেই গরুর ঘরের দরজায় বসে মাথায় হাত দিয়ে বিলাপ করে বলছিলেন,হরেন্দ্রনাথের স্ত্রী ববিতা রানী।
রোববার ৩০ এপ্রিল-২০২৩ইং সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের দোন্দরা গ্রামের ক্লাব মোড়ে মৃত্য দেবেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে হরেন্দ্রনাথ (৫০)এর বাড়ির পিছনে থাকা গাছের ডাল ভেঙে পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইনের তারের পড়লে আগুন লেগে তারটি ছিড়ে যায়।ছেড়া তারটি হরেন্দ্রনাথের গরুর ঘরের পিছনে পুকুরে পরলে তার বাড়িসহ আশপাশের ৩ টি বাড়ি বিদ্যুতায়িত হয়।এতে করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার গোয়াল ঘরে থাকা পাঁচটি গরু ও একটি ছাগল মারা গেছে এবং হরেন্দ্রনাথ ও তার স্ত্রী ববিতা রানী আহত হয়েছে।হরেন্দ্রনাথ এর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা কাশেম আলী(৬০)জানান,আমরা এসময় কয়েক জন ক্লাব মোড়ে বসে গল্প করছিলাম গরু গুলোর ডাক শুনে আমরা সবাই ছুটে আসি কিন্তু বিদ্যুৎ লাইনের কারণে আমরা গরু গুলোর কাছে যেতে পারছিলাম না।গরুগুলো ঘরের ভিতরেই লাফালাফি করতেছে আর গলা ফাটিয়ে ডাকতেছে।এসময় পল্লী বিদ্যুতের অফিসে ফোন দিলেও তারা ফোন ধরেনি।পরে স্থানীয় কয়েকজন বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে কথা বলে লাইন বন্ধ করে দেন।পরে ঘর খুলে দেখা যায় ৫টি গরু ও একটি ছাগল মরে আছ।এ বিষয়ে হরেন্দ্রনাথের স্ত্রী জানান,এর আগে বারবার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনকে গাছের ডাল কাটার জন্য বলা হয়েছে এমনকি এই তারটাতে কভারের তার দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল তারা হামার গুলার কোনো কথায় শুনে না।কাল যখন ৭ টার সময় তার ছিড়ে যায় তখন তাদের নাম্বারে হাজার বার ফোন করলেও তাদের ফোন বন্ধ দেখায়।যদি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেত তাহলে আজক্যা মোর গরুগুলা মরিগ্যাইল না হয়।এসময় ববিতা রানী দাবি করে বলেন,পল্লী বিদ্যুতের কারণে তার ৩লাখ টাকার গরু-ছাগল মারা গেছে।হরেন্দ্রনাথের ছেলে সাধন রায় বলেন,আমি যে কতো বার তাদের নাম্বারে কল দিছি তাদের ফোন বন্ধ ছাড়া খোলা পাই নাই। পরে বাধ্য হয়ে সাড়ে ৭টার দিকে তাদের পাগলাপীর অফিসে গিয়ে অভিযোগ দেই।তারপর তারা লাইন বন্ধ করে দেয়।পরে তারা রাত ১টার দিকে আমাদের এখানে আসে।এমন কি আমরা কালকে ৯৯৯ নাম্বারে কল করেও কেনো সাড়াপাই নাই।তবে এবিষয় পাগলাপীর জোনাল অফিসের ডিজিএম (কারিগরি)মুঠোফোনে বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি তবে এসব গরু-ছাগলের মৃত্যু পল্লী বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে নয়।কারণ তাদের গরুর ঘর থেকে অনেক দূরে তারটি ছিড়ে পড়েছিল।আমরা ধারণা করছি এসব গরু-ছাগলের মৃত্যু বজ্রপাতের কারণে হতে পারে