নড়াইলের বাধাঘাট নিয়ে সুন্দর যুক্তি উপস্থাপন করে আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় উঠিয়েছেন লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ফাহিম সৌরভ। তিনি তার নিজের ফেসবুক ওয়ালে যে যুক্তি উপস্হাপনের চেষ্টা করেছেন তা হুবুহু কপি করে তুলে ধরা হল—
নড়াইলের নিয়াজ মাহমুদ ভিকু নামের একজন দেখলাম বাঁধাঘাট নিয়ে অনেক লেখালেখি করতেছেন।তার সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় নাই।আমার জন্মের আগে থেকেই বোধহয় উনি আমেরিকা প্রবাসী।বাট তার ফেসবুক লেখালেখি দেখে আমার ও কিছু লিখতে ইচ্ছে হলো।
পয়েন্ট ১ঃ বাঁধাঘাট সরকারি সম্পত্তি নাকি মন্দির কমিটির সম্পত্তি।ভিকু সাহেব প্রমান পেশ করছেন যে বাঁধাঘাট সরকারি সম্পত্তি। যারা দাবী করতেছেন বাঁধাঘাট মন্দির কমিটির সম্পত্তি তারা তার স্বপক্ষে প্রমান দেখাক।
পয়েন্ট ২ঃ বাঁধাঘাট নাকি দখল করা হয়নাই।তাহলে মন্দির এ প্রাচীর দেওয়ার নামে বাঁধাঘাট এ ঢোকার রাস্তাও অফ করে দেওয়া হইছে ক্যান?বাঁধাঘাট দর্শনীয় স্থান।তার প্রবেশ পথ বন্ধ করা হবে ক্যানো!মন্দির এর যায়গা পরিমাপ করে সেইটুকু ঘিরে দিলেই তো সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।
পয়েন্ট ৩ঃ মন্দির এর নকশায় নাকি শিবলিঙ্গ ছিলো না।।পানির ফোয়ারা ছিলো এবং সেইভাবেই এটা প্রচার করা হয়েছিলো।যাদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নেওয়া হয়েছিলো তাদের এ বলা হয়েছিলো যে পানির ফোয়ারা হবে।সেইটাকে হটাৎ চেঞ্জ করে শিবলিঙ্গ করা হলো।।কথা হচ্ছে যদি শিবলিঙ্গ মন্দিরের যায়গায় হয় তাহলে তারা স্থাপন করতেই পারে এ নিয়ে কোনো কথা নেই কিন্তু যদি মন্দিরের যায়গায় না হয় তাহলে তার সুষ্ঠ সমাধান করতে হবে।
ভিকু সাহেব এই বিষয়ে কিছু লিখলেই দেখলাম তাকে উল্টাপাল্টা বলা হচ্ছে।।তা না করে তার যে দাবী মন্দির ও বাঁধাঘাট এর সীমানা পরিমাপ করে সিমানা নির্ধারণ করা সেইটা করলেই তো সব বিতর্কের অবসান হয়ে যায়।
দুই পক্ষের কারোর ই কি সৎসাহস নেই যে যায়গাটা পরিমাপ করবে???নড়াইল শান্তিপ্রিয় জনপদ। কিন্তু কিছুদিন পূর্বে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার জন্য আমরা ভীত।তাই অবিলম্বে সিমানা পরিমাপ করে সকল বিতর্ক অবসান করা হোক।