নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার চোরখালী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।এতে নারীসহ উভয় পক্ষের ৭জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়,২৩সেপ্টেম্বর(শুক্রবার)দুপুর ১টায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের স্থাণীয় ও কালিয়া উপজেলা স্বাস্থকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।এদরে মধ্যে মন্টু বিশ্বাসের বড় ছেলে শাকিল ও আঃ রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে রহমান বিশ্বাসের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় খুলনা মেডিকেলে স্থানন্তর করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়,কয়েকদিন আগে এনায়েত খানের ছেলে সুমন খানের সাথে মসজিদে জিলাপী ভাগাভাগি নিয়ে মন্টু বিশ্বাসের ছেলে শান্তর সাথে কথা কাটাকাটি হলে স্থাণীয়রা বিষয়টি মিমাংসা করে দেন।
আজ শান্তর ভাই শাকিল বিশ্বাস তার মামা এনামুলকে নিয়ে নদীতে গোসল করতে গেলে সুমনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে সুমন বাড়ী এসে তার ১০/১৫ জন সহযোগীসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এনামুলের বাড়ী এসে আকস্মিক হামলা চালিয়ে ঘরের জানালা ভাংচুর করে এনামুলের মা রোকেয়া বেগম ও বোন নাজমিনসহ এনামুল,শাকিল ও রহমানকে কুপিয়ে মারাত্ম জখম করে।
এনামুলের স্ত্রী রত্না বেগম জানান,তার স্বামী,দেবর ও ভাগ্নেকে ইশা খান(৬০),তার ছেলে সুজন,এনায়েত খানের ছেলে সুমন(৩৩)সেলিম ও সোহাগসহ আরো অনেকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুমিয়ে জখম করে।এ ঘটনা সুষ্ঠ বিচার দাবী করেছেন তিনি।
এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের ইশা খান জানান,তিনি ঠেকাইতে গিয়ে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন এবং তার ছেলে সুজন খান ও ভাইপো সুমন খান আহত হয়ে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে।
নড়াগাতী থানার(ওসি)সুকান্ত সাহা বলেন,বিষটি তিনি শুনেছেন এবং ঘটনাস্থাল পুলিশ পরিদর্শন করেছে।কোন পক্ষ এখনো কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোঃ আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।
মোবাইল ঃ০১৯২০২৮১৭৮৭ /০১৭০৫১৯৩০৩০