ডেস্ক রিপোর্টঃ–নড়াইল সদরের পাইকমারী গ্রামের আবু হানিফ এর কন্যা মিতু খানম(খাদিজা) নিজেই বাদী হয়ে নড়াইল বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল এ অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছেন।মোকদ্দমা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০সংশোধনী ২০০৩ এর ১১(গ)/৩০ বাদী একজন সহজ সরল নিরীহ আইনমান্যকারী একজন নারী।আসামীগন প্রতারক,নারী নির্যাতনকারী,পর-সম্পদ হরনকারী,যৌতুক লোভী,মাদক সেবনকারী এবং একাধিক মামলার আসামী।তবে নির্যাতিত নারী মিতু খানম ওরফে খাদিজার শশুর মানিক মোল্যা একজন বিশিষ্ট সুদখোর নামে পরিচিত।মিতু খানম এর বিবাহ হয় নুর আলম(৩৫)নামের একজন যৌতুকলোভী প্রকৃত ব্যক্তির সাথে।বিবাহ হয় আনুমানিক ১৫বছর।বিবাহের পর শান্তিপূর্ণভাবে ঘর সংসার করে আসছে।তাদের একটি কন্যা সন্তান নাম লামিয়া(১২) ও দ্বিতীয় পুত্র সন্তান নাম লাবিব(৩)জন্ম হয়।মিতু খানমকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে তার পিতার বাড়ির থেকে ১ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন,৮আনা ওজনের স্বর্ণেল হাতের ২টি বালা,৮আনা ওজনের ২টি স্বর্ণের আংটি,১ভরি ওজনের স্বর্ণের হাতের বালা,একটি পালসার মোটরসাইকেল এবং মাটির ব্যবসার জন্য টাকা নেয় স্বামী ও স্বামীর পিতা মাতা।সকল মালামালের হিসাবে মোট টাকার পরিমান ৪,৭২,০০০ চার লক্ষ বাহাত্তর হাজার টাকা।তারপর ও সমাপ্ত ঘটে নাই পুনরায় যৌতুকের পরিমান বেশি দাবী করে আসছে বেশ কিছু দিন যাবত।স্ত্রী মিতু খানম ও খাদিজাকে মারপিট করে এবং ৫লক্ষ টাকা দাবি করে বলে তোর পিতার নিকট হতে টাকা নিয়ে আসবি,না হলে আমার বাড়িতে তোর কোন স্হান নেই।এই কথা সহমত করেন স্বামী নুর আলম এর পিতা মানিক মোল্যা ও তার মাতা রুবা বেগম।এদিকে মিতু খানম যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।তবে মেয়ের সুখের জন্য মেয়ের স্বামী,শশুর,শাশুড়িকে আসতে বলে মিতু খানমের পিতা আবু হানিফ মোল্যা।যৌতুক লোভী নুর আলম এর পিতা মানিক মোল্যা তার বিয়াই আবু হানিফ মোল্যার বাড়িতে যায়।যৌতুকলোভী ও একজন সুদখোর মানিক মোল্যা মেয়ের পিতার নিকট বলেন ৫লক্ষ টাকা না দিয়ে আমরা ছেলের স্ত্রী মিতু খানমকে গ্রহন করতে পারবো না এই কথা বলে চলে যায়।মিতু খানম স্বামীর বাড়িতে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে এবং তাকে অমানবিক অত্যাচার করেছে শরীলের বিভিন্ন জায়গাতে যেমন তার তলপেটে আঘাত করে রক্তক্ষরণ,বাম পায়ে মারাত্বক আঘাত,বাম হাতে আঘাত করে।আঘাত সয্য না করতে পেরে মাটিতে পড়ে যায়,এমনকি মাটিতে পড়ে যাওয়ার পরও তাকে হত্যা করার জন্য মিতুকে গলার উপর পা চেপে ধরে রাখে।আশপাশের লোকজন দুরে থেকে দেখে সহ্য করতে না পেরে একযোগে সকলেই যেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মিতু খানমকে উদ্ধার করতে গেলে যৌতুকলোভী,আইনঅমান্যকারী,অত্যাচারকারীরা দৌড়িয়ে চলে যায়।স্হানীয় লোকজন তাকে নিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।মিতু খানমের মেডিকেল সার্টিফিকেট রয়েছে এবং ঘটনা সত্য হলেও মামলা গ্রহন করেন নাই নড়াইল সদর থানা।এ ঘটনার বিষয় ৩জন সাক্ষী দিয়েছেন নড়াইল বিজ্ঞ আদালতে।নির্যাতনের স্বীকার দুই সন্তানের জননী মিতু খানম(খাদিজা) তিনি বলেন আমি আমার স্বামীর কথামতে ৪লক্ষ ৭২হাজার টাকা দিয়েছি স্বামীকে,আমি আর টাকা দিতে পারবো না,কেননা মেয়ের সুখের জন্য পিতা অনেক টাকা দিয়েছে,এখন এভাবে পর্যায়ক্রমে যদি টাকা দিতে থাকি তাহলে আমার মত অনেক নারী সর্বশান্ত হয়ে যাবে।তাই আদালতের আইনমেনে আমি অভিযোগ করেছি।আইনের মধ্যে দিয়ে যে সিদ্ধান্ত হয় সেটি নিয়ে আমি খুশি।আমার দুটি সন্তানকে নিয়ে এখন আমি কি করবো? এবিষয় মিতু খানম মতামত প্রকাশ করেন,যৌতুকলোভী,প্রতারক,নির্যাতনকারীদের বিচার চাই।
যৌতুকলোভী নুর আলম এর ছবি–