বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব,আল-হাইআতুল উলয়্যা লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের সহ সভাপতি আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদের নায়েব মুহতামিম ও প্রধান মুফতি, আল্লামা মুফতি নুরুল আমীন রাহ’ ইন্তেকাল করেছেন।ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন।
মুফতি নুরুল আমীন রাহ’র ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন আঞ্জুমানে দাওয়াতে ইসলাহ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর,বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি,আল-হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের স্থায়ী কমিটির সদস্য,আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মেহেরিয়া মুঈনুল ইসলাম সরফভাটা রাঙ্গুনিয়া চট্টগ্রাম,বাংলাদেশের সম্মানিত মহাপরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী সাহেব দাঃ বাঃ।
আজ(১২নভেম্বর’২২ ইং)শনিবার সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় মাওলানা আনাস মাদানী বলেন,শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি নুরুল আমীন রহঃ দেশের ইসলামী রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন,কোরআন-সুন্নাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মুকাবেলায় তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয় ছিল।
বিশেষ করে তিনি সকল কাজে দারুল উলুম দেওবন্দের উসুলকে প্রধান্য দিতেন।আমার বাবা শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহঃ এর মাহবুব খলীফা ও আস্থাবান ব্যক্তি ছিলেন,শাইখুল ইসলাম রাহঃ’র মৃত্যুর পর শাইখুল ইসলাম রাহঃ’র রেখে যাওয়া মিশনগুলো সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।আব্বাজান রাহ’র মৃত্যুরপর আমাদের পরিবারের খোঁজ খবর নিতেন।
মাওলানা আনাস মাদানী আরো বলেন,শায়খুল হাদিস আল্লামা শাইখুল ইসলাম রাহঃ তিনি সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে ইস্যুভিত্তিক আন্দোলন গড়ে তুলতেন।তিনি দরস ও তাদরীসের আমৃত্যু জড়িত ছিলেন।তিনি বহু মসজিদ,মাদরাসা প্রতিষ্ঠাসহ দীনের বহুমুখি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে গেছেন।উম্মাহ`র জন্যে হযরত অসামান্য ও অনন্যা অবদান রেখে গেলেন।আপনাকে কোনদিনই ভুলতে পারবে না।
শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহঃ এর নেতৃত্বে দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্ব পালনের সময় যেকোনো ঈমানী আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিলেন।বিশেষতঃ দারুল উলুম দেলবন্দের প্রণীত শিক্ষা সিলেবাস অক্ষুণ্ণ রেখে, কওমী মাদরাসার নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সনদের স্বীকৃতি আদায়ে তিনি শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী রাহঃ’র একক প্রতিনিধি হিসেবে ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতেন।
হযরতের এই অবদান কওমী জাতি আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
তিনি আরো বলেন,এলমে দ্বীনের প্রচার-প্রসারে হযরতের ভূমিকা কওমি অঙ্গনে স্বরণীয় হয়ে থাকবে।তাঁর বর্ণাঢ্য জীবনের প্রতিটি ধাপ আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।এদেশের ইসলাম ও মানুষের জন্য তার কুরবানী ভবিষ্যতে স্বর্নাক্ষরে লেখে রাখা হবে।দেশের এই অন্যতম শীর্ষ আলেমেদ্বীনের ইন্তেকালে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। সাথে সাথে হযরতের মাগফিরাত কামনা করছি।
দেশজুড়ে শায়খুল হাদিস আল্লামা শাইখুল ইসলাম রহঃ’র রুহানি সন্তান,শোকসন্তপ্ত পরিবার,সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জ্ঞাপন করছি।আল্লাহ হযরতের কবরকে জান্নাতের বাগান করে দিন-আমিন