রিপোর্টারঃ আবু সায়েম আকন,ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি–ঝালকাঠির রাজাপুরে ক্রয়কৃত জমি ভোগদখলে বাঁধা এবং রোপণ করা অর্ধশত সুপারি গাছ তুলে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২৮ জুলাই-২০২৩ইং রোজ শুক্রবার বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের আমিনবাড়ি নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় হাজির হতে বলেছেন।স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, মো. জয়নাল আবেদীন এর ছেলে মো. এমাদুল(৩০)ও মো. সাইদুল হক এর ছেলে মোঃ মিজান(৩০)দুজনেই প্রবাসী। গত এক বছর আগে বাড়িতে এসে স্থানীয় মৃত মফিজুর রহমান মুনশির মেয়ে ফাতেমা বেগমের বাবার বাড়ি থেকে পাওয়া ৯ কাঠা জমি ক্রয় করে।ক্রয় করা জমি ফাতেমা সরজমিনে মেপে বুঝিয়ে দেয় তার ভাতিজা মৃত শাহ আলম এর ছেলে মোঃ লোকমান হোসেন(৩৫)কে নিয়ে। এরপর থেকেই তারা ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু কিছুদিন আগে থেকে ওই জমির উপরে লোভ পরে ফাতেমা বেগমের ভাই মৃত শাহ আলমের আরেক ছেলে মো. ফোরকান(৩৮)ফোরকার তার ভাই লোকমানকে সাথে নিয়ে শুরু করে বাধা প্রদান।প্রথমে ফুফু তার কাছে জমি বিক্রি করেছে এবং দলিল আছে বললেও স্থানীয় সালিসদারদের চাপে ফুফু জমি তাকে দিতে চেয়েছে কিন্তু দেয়নি বলে স্বীকার করে।পরে স্থানীয় সবাই ফোরকানকে ওই জমিতে যেতে না করলেও প্রতিনিয়ত এমাদুল ও মিজানের পরিবারকে ভোগদখলে বাধা প্রদান করেই আসছে এবং প্রায়ই জমির গাছ পালা কেটে,উপরে ফেলে ক্ষতি সাধন করেই যাচ্ছে।স্থানীয় মনিরুজ্জামান মধু বলেন, ফোরকার অন্যায়ভাবে এই জমির ক্রেতাদের ক্ষতি করে যাচ্ছে।আমি এ বিষয়ে সম্পুর্ণ জানি।প্রথমে ফোরকান মালিকানা দাবি করলে আমি ওর কাছে কাগজপত্র দেখতে চাই কিন্তু ও কিছুই দেখাতে পারেনি।আমি জমির ক্রেতাদের বলেছি কোনো ঝামেলায় যেও না।আইনের আশ্রয় নাও আইন তোমাদের জায়গা বুঝিয়ে দিবে। এমাদুল ও মিজানের পরিবার আইনের দারস্থ হয়েছে এখন তারা সুষ্ঠু সমাধান না করলে এখানে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।এ ব্যপারে ফাতেমা বেগমের সাথে কথা বলতে তার মোবাইলে কল করলে তার ছেলে ফয়সালকে পাওয়া যায় এবং তিনি বলেন,আমার মা নানা বাড়ির থেকে পাওয়া ২৭ শতাংশ জমি নানা বাড়ির পার্শ্ববর্তী এমাদুল এবং মিজানের কাছে বিক্রি করে।এখানে আমার মামাতো ভাই ফোরকার আর লোকমানের কোনো অধিকার নাই।তারা অন্যায়ভাবে বাধা প্রদান করে যাচ্ছে।ভোগদখলে বাঁধা প্রদানের বিষয়ে ফোরকানের ছোটভাই লোকমানের কাছে জানতে চাইলে সে বলেন,আমার ফুফুর আমাদের বাড়ি থেকে তার প্রাপ্য বুঝে নেয়ার পরে আমাদের কাছে বিক্রি করে যায়।একই জমি আবার পার্শ্ববর্তী এমাদুল ও মিজান ক্রয় করেছে বলে দাবি করে।এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান।আমরা সকল কাগজপত্র আদালতে জমা দিয়েছি।আদালত যাদের সঠিক মনে করবে তাদের জমি বুঝিয়ে দিবে।পুলিশ এসে কাগজপত্র নিয়ে ৩০ তারিখ থানায় দেখা করতে বলেন।
এস আই জাহাঙ্গীর বলেন,অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে দুই গ্রুপকেই সকল কাগজপত্র থানায় আসতে বলেছি।কাগজ দেখে বলা যাবে জমির আসল মালিক কে।