রিপোর্টারঃ ইন্দ্রজিৎ টিকাদার,বটিয়াঘাটা উপজেলা প্রতিনিধি-খুলনা’র বটিয়াঘাটা উপজেলার
বিরাট খেয়া ঘাট এলাকায় ২০৫ বিঘা জমি নিয়ে প্রস্তাবিত “বঙ্গবন্ধু বোটানিকাল গার্ডেন” দু,বছরেও কাজ শুরু না হওয়ায় এর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ২০২১ সালে ঘটাও করে এর উদ্বোধন হয়। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ ভার্চুয়ালী সংযুক্ত থেকে এর শুভ উদ্বোধন করেন।তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনারও ভার্চুয়ালী সংযুক্ত ছিলেন।এসময় জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস(এমপি),জেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদ,জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন,জেলা পুলিশ সুপারসহ বহু কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে এপর্যন্ত কাজের আর কোন অগ্রগতি হয়নি।অন্যদিকে উপজেলা পরিষদ থেকে নির্দেশ মোতাবেক প্রায় দু লাখ টাকা ব্যয়ে গাছের বিভিন্ন লবন সহিষ্ণু গাছের চারা রোপন করে ছিলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রকল্পের অগ্রগতি না হওয়ায় সে চারা বা খাঁচার কোন চিহ্ন আর নেই।সরেজমিনে গিয়ে ও রেকর্ডীয় মালিক গণের সাথে কথা বলে জানা গেছে,উক্ত অধিকৃত জমির মালিকানা নিয়ে রেকর্ডীয় মালিক গণের সাথে সরকারের মামলা মোকদ্দমার বিরোধ থাকলেও উক্ত অধিকৃত জমি স্থানীয় কিছু আ’লীগ নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় দখল করে নিয়েছে রাজাকার,আলবদরের পুত্র ও ভাই-ব্রাদাররা এবং তাদের দোসররা।আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে কি ভাবে সংখ্যালঘুদের রেকর্ডীয় জমি রাজাকার পুত্র ও তাদের ভাইয়েরা দখল করে নিয়েছে তা সচেতন মহলের বোধগম্য নয়।অন্যদিকে কেন এ প্রকল্পটি বন্ধ হলো তা নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্নের দেখা দিয়েছে।এনিয়ে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বিনয় কৃষ্ণ সরকার জানান,দখলদাররা আমাদের জলমা ইউনিয়নের জলমা মৌজার রেকর্ডী জমি জোর পূর্বক দখল করে ঘের করার জন্যে চক্রান্ত করে ধীরে ধীরে পুরো জায়গা দখল করে মাছের ঘের করে চলেছে।তিনি আরো জানান,অথচ এজায়গা গুলো জলমা ইউনিয়নের লোকেদের কাজীবাছা নদী ভাঙ্গনে ভেঙ্গে গিয়ে বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের বিরাটের ওপারে নদী ভরাট হয়।কয়েক বছরের মধ্যে আবাদী জমিতে পরিণত হয়েছে।জলমার লোকদের রেকর্ড পত্র রয়েছে।কিন্তু নানান তালবাহানা সৃষ্টি করে প্রভাবশালী মহল জোর করে জায়গা দখল করে রেখেছে।এব্যাপারে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইন বলেন,অনেক দিন ধরে এজায়গা নিয়ে মামলা চলায় উপজেলা ও জেলা প্রশাসন পড়েছে বিপাকে পড়েছে। প্রকল্পের ভবিষ্যত কি এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পটি নিয়ে এখনও প্রসেসিং চলছে এবং প্রক্রীয়াধীন রয়েছে।সরাসরি নির্দেশনা পেলে তা বাস্তবায়ন করা হবে ।