নিজস্ব প্রতিবেদক–গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে পিতলের মূর্তি স্বর্ণের বলে বিক্রয় কালে প্রতারণা চক্রের ২জনকে গ্রেফতার করেছেন কাশিয়ানী থানা পুলিশ ১৫জুন বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ৮টার সময় কাশিয়ানী উপজেলাধীন পারুলিয়া ইউনিয়নের ছোট-পারুলিয়া গ্রাম থেকে কাশিয়ানী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে কথিত সোনার মূর্তিটি উদ্ধার করে এবং ২ জনকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধাতব বস্তুর মূর্তি দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বহু পুরোনো স্বর্ণের মূর্তি বলে বিভিন্ন কৌশলে ঠকিয়ে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায় ১৫জুন বৃহস্পতিবার উপজেলাধীন ছোট-পারুলিয়া গ্রামে পিতলের একটি মূর্তি এনে স্বর্ণের মূর্তি বলে বিক্রয় প্রস্তুত কালে কাশিয়ানী থানা পুলিশ জানতে পেরে অভিজান পরিচালনা করে এবং ২ জন প্রতারণা চক্রের সদস্য সহ একটি কথিত স্বর্ণের মূর্তি জব্দ করে।
অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলেন,পারুলিয়া ইউনিয়নের ছোট পারুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত. মোঃ মনু শেখের ছেলে মনছুর শেখ(৪৫)এবং সাজাইল ইউনিয়নের হরিদাসপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ হাবিবুর রহমান শেখের ছেলে মোঃ তুষার শেখ(৪০)।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতারণার শিকার এক ভুক্তভোগী জানান,কিছুদিন আগে গ্রেফতারকৃত প্রতারক চক্রের সদস্যরা আমাকে একটি স্বর্ণের মূর্তির কথা বললে আমি আগ্রহ প্রকাশ করি।মূর্তিটি দেখতে চাইলে আমায় মুর্তিটি দেখাতে চেয়েছিলো।পরে এক ভিন্ন মাধ্যম থেকে আমি জানতে পারি চক্রটি প্রতারক।আর জানতে পারি যে, পিতলের মুর্তির বিশেষ অংশে স্বর্ণ থাকে বাকিটা পিতলের। বিক্রি করার পূর্বে প্রতারকরা স্বর্নের অংশ হতে কেটে দেখায় এবং সম্পুর্ন মুর্তিটি স্বর্নের দাবী করে।টাকা নেয়ার পরে মুর্তিটি ক্রেতাকে দেয়া হয় না।
কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ আলম গ্রেফতারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,আমরা মূর্তিটি জব্দ করেছি এবং হাতেনাতে দু’জনকে আটক করে আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা রুজূ করে গোপালগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।