রিপোর্টারঃ মনোয়ারা খানম,ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি-ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রান্তিক এলাকা বারুয়াখালী ইউনিয়নের প্রধান সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।প্রায় ১৫ হাজার ভোটারের এই ইউনিয়নটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।কৃষক,শ্রমিক ও প্রবাসী অধ্যুষিত এ অঞ্চলের প্রধান যোগাযোগপথ হলো বারুয়াখালী প্রাইমারি স্কুল মোড় থেকে ব্রাহ্মণখালী সরিষার তেল কারখানা পর্যন্ত সড়কটি, যা বর্তমানে বড় বড় গর্তে ভরা এবং বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে চলাচল অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
প্রতিদিন মোটরসাইকেল, ভ্যান,অটোরিকশা ও ছোট যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অসুস্থ রোগীরা।
স্থানীয় সমাজসেবক মুন্না ভূইয়া বলেন,এই সড়ক দিয়েই মানুষ হাটে-বাজারে যায়, শিক্ষার্থীরা স্কুলে যায়, কৃষকরা ফসল আনে নেয়। কিন্তু রাস্তার এমন অবস্থার কারণে পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে, অনেক সময় ফসলও নষ্ট হয়। আরেক স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সোহেল রানা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের দাবি জানানো হলেও কাজ হয়নি।
এখন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা নিজ উদ্যোগে কিছু অংশ মেরামত করছেন। নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা ইসলাম জানিয়েছেন, সড়কটির উন্নয়নকাজের জন্য প্রায় ১২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, যা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (LGED)-এর তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়ন করা হবে।
স্থানীয়রা বলেন,দ্রুত সংস্কার না হলে জরুরি চিকিৎসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত ও কৃষিপণ্য পরিবহনে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা দেখা দেবে।স্বেচ্ছাসেবীদের অস্থায়ী উদ্যোগে সাময়িক স্বস্তি মিললেও, বারুয়াখালীবাসীর প্রত্যাশা সরকারি উদ্যোগে স্থায়ী সংস্কারই হবে স্থায়ী সমাধান।