মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ নওপাড়া -ঘোলতলী সড়কের বেসাল দশা।এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।সামান্য বৃষ্টি হলেই নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয় পথচারীদের। মাঝে মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।নওপাড়া বাজার থেকে ধারার হাট চৌরাস্তা পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তাটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খোদাই করে ব্যবহারের অযোগ্য করে রেখেছে বলে জানা গেছে।এ বছরের প্রথম দিকে নওপাড়া-ঘোলতলী সড়কটি ৫হাজার ৮শত ৫০মিটার দৈর্ঘ্যের জন্য ৩ কোটি ৮৭লাখ টাকার কাজ পায় রূপালী কনেসট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।জুন মাসে নওপাড়া বাজার থেকে ধারার হাট চৌরাস্তা পর্যন্ত খোড়াখুড়ি করে রেখে আর কাজ করেনি।এমন দৃশ্য চোখে পড়ে লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নে নওপাড়া-ঘোলতলী সড়কটিতে।
সরেজমিনে দেখা যায় সকাল হতে রাত পর্যন্ত ৮/১০ টি গ্রামের ১৪/১৫ হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে এই সড়ক দিয়ে।ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, সিএনজি,রোগী বহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।স্থানীয়দের দাবী, যেহেতু রাস্তাটি সকলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।তাই অতি তাড়াতাড়ি সংস্কার করা প্রয়োজন। দীর্ঘদিন দরে এমন বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
খানাখন্দে ভরপুর রাস্তাটির কারনে প্রায়ই মানুষ অটোরিকশা হতে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে চলেছে। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে রাস্তাটি খানাখন্দে পরিনত হয়েছে।
একাধিক অটোরিকশা চালক বলেন,প্রায় রাস্তার মধ্যে গাড়ি আটকে যায়।বৃষ্টি হলে তো আর কথাই নেই।অনেক সময় যাত্রী নামিয়ে তারপর খালি গাড়ি চালিয়ে আসতে হয়।রাস্তাটি অতিদ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।ছয় মাস আগে সড়কের কাজ শুরু করে কেন আবার বন্ধ রাখা হয়েছে জানতে চাইলে রূপালী কনেসট্রাকশন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্নধার আমাদের প্রতিনিধিকে জানান,তখন(জুন মাস)বর্ষা মৌসুম থাকায় কাজ শুরু করে তা বন্ধ রাখতে হয়েছে।মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,পানি জমি থেকে নামার সাথে সাথে কাজ শুরু করবো।উপজেলা প্রকৌশলী শোয়াইব বিন আজাদ বলেন, আপনারা জানেন এই সড়কটির জন্য ৩কোটি ৮৭লাখ টাকার টেন্ডার হয়েছে।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা হয়েছে এই মাসের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।