মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কনকসার ইউনিয়নস্থ ধীৎপুর কলাবাগানে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সকাল ৯টা থেকে মধ্যরাত পযর্ন্ত বিরতিহীন ভাবে জুয়া খেলা চলতো।কনকসার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান বদল হলেও জুয়া খেলোয়ারদের জুয়া খেলা এখানে কখনো বন্ধ হয়নি। এ ব্যাপারে জনপ্রিয় দৈনিক ওলামা কন্ঠ ও শাপলা টিভিতে ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরও ওরা ছিল বহাল তবিয়তে।
আমাদের প্রতিনিধি এ বিষয়ে লিখে ফেসবুকে পোস্ট করলে কনকসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বিদ্যুৎ আলম মোড়ল কমেন্ট করে কোথায় জুয়া খেলা হয় তথ্য জানতে চাইলে বিস্তারিত তথ্য দেয়ার পর গত ২৪ অক্টোবর রবিবার দুপুর আনুমানিক ১২টায় বিশিষ্ট লোকজন নিয়ে জুয়া খেলার নির্ধারিত স্থানে অভিযান চালান।বৃষ্টির কারণে কাউকেই না পেয়ে আশেপাশের সবাইকে সর্তকবাণী দিয়ে যান।জুয়া খেলায় রত কাউকে আটক করা হলে কোন ছাড় দেওয়া হবেনা। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।সর্তকবাণী দেওয়ার পর থেকে এ রিপোর্ট পযর্ন্ত কোন জুয়াড়ীকে উক্ত বাগানে কিংবা আশেপাশে ঘুড়তে দেখা যায়নি।
উল্লেখ যে, কনকসার ইউনিয়স্থ ধীৎপুর কলাবাগান গ্রামটি জুয়ার বাগানে পরিণত হয়েছিল। প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতিদিন বিভিন্ন বাড়ির আঙ্গিনায় ও নিকটবর্তী আকাশমনি গাছ বাগানে তাসের মাধ্যমে জুয়ার আসর নিয়মিত চলত।জানা যায়, ফরিদপুরের পদ্মা নদীর নিকটবর্তী শিবচর ও কাঁঠালবাড়িয়ার লোকজন নদী ভাঙ্গনে ঘর – বাড়ি,ফসলী জমি ও দোকানপাট হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে লৌহজংয়ের কলাবাগান এসে বাৎসরিক জমি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে।তাদের মধ্যে অধিকাংশ পুরুষ কাঠপট্টিতে মিস্ত্রির কাজ কেউবা দূর দূরান্ত থেকে আসা ট্রাক থেকে গাছ নামানোর কাজ করছে।তারা আয়ের বেশীর ভাগ টাকা জুয়া খেলায় নষ্ট করত। স্ত্রী ও সন্তান কোনমতে অর্ধাহারে অনাহারে জীবন বাঁচাত।ওরা জুয়ার আসর বছরের পর বছর ধরে জমিয়ে রেখেছে প্রভাবশালী কারো কারো চামচামি করে। ক্রমে ক্রমে এখন ওরা অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠেছিল।
লৌহজংয়ের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য জুয়ারী এখানে এসে নির্বিঘ্নে নিত্যদিন জুয়া খেলত। এ গ্রামের ছোট ছোট ছেলেরাও জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়েছে।পাঁচ থেকে পঞ্চাশ টাকা পযর্ন্ত বাজী ধরে বিভিন্ন আনাচে কানাচে তাস দিয়ে জোড় মিলানো খেলত।জুয়া খেলাকে সৌখিনতা ভেবে বাপ -ছেলে,জামাই-শ্বশুর ও নানা কিংবা দাদা-নাতি এক সাথে জুয়া খেলায় বসতে দ্বিধাবোধ করত না। চেয়ারম্যান মহোদয়ের আকস্মিক অভিযানে জুয়াড়ীদের স্ত্রীরাও ভীষণ খুশি হয়েছে।বড় আশা নিয়ে বুক বেঁধে আছে এবার যদি তাদের স্বামীরা ভালো হয়। চেয়ারম্যানের অভিযানে অত্যন্ত খুশি হয়ে তার জন্য প্রাণভরে দোয়াও করেছে।