লক্ষ্মীপুরে অজ্ঞাত এক নারীকে হত্যা মামলার দুই আসামী খালাস।লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে ৫০ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা মামলার রায়ে দুই আসামীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।সোমবার (১২সেপ্টেম্বর)বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.রহিবুল ইসলাম হত্যা মামলার রায়ে তাদের খালাস দেন।এই সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।খালাসপ্রাপ্তরা হলেন,লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম নন্দনপুর গ্রামের মৃত মনু মিয়ার ছেলে মো.হানিফ(৬০)ও পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত আবদুল করিমের ছেলে রিকশাচালক মো.শাহজাহান(৬২)
জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌঁশুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন,আাসামীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমানে হত্যার অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ার আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ইং সালের ২৮মে দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কলাকেপা গ্রামের বক্স আলী বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে প্রায় ৫০বছর বয়সী অজ্ঞাত এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জেলা সদর হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। এই ঘটনায় রায়পুর থানায় অপমৃত্যু মামলা করে পুলিশ।
অজ্ঞাত ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে উঠে আসে।এতে রায়পুর থানার উপপরিদর্শক(এসআই)মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বাদি হয়ে ওই বছরের ৯জুন হত্যা মামলা দায়ের করে।
হত্যা মামলাটি তদন্ত করেন একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই)মানিক চন্দ্র বড়ুয়া।তিনি ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মো.শাহজাহান নামে এক রিকশা চালককে গ্রেফতার করেন।শাহাজাহান অজ্ঞাত ওই নারীকে গলাটিপে হত্যার ঘটনা পুলিশের কাছে স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।এতে মো.হানিফ নামে আরও একজন জড়িত ছিল বলে তিনি জানায়।
২০১৭ইং সালের ১২অক্টোবর আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো.হানিফকে প্রধান অভিযুক্ত করে এবং মো. শাহজাহান নামে দুই আসামীর বিরুদ্ধে হত্যার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবদেন দেন।তবে অজ্ঞাত ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন,মৃত্যুর আগে ওই নারী লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম নন্দনপুর গ্রামের মারুফ হাজী বাড়িতে ঘোরাঘুরি করতো।এতে বাড়ির পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় ওই বাড়ির মো.হানিফ অতিষ্ঠ হয়ে মো.শাহজাহানের রিকশায় ওই নারীকে উঠিয়ে রায়পুরের বামনী ইউনিয়নের কলাকোপা গ্রামের একটি ডোবার পাশে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মৃতদেহ ডোবায় ফেলে দেয়।এতে হানিফ রিকসা ভাড়া বাবদ শাহজাহানকে ১৫০ টাকা পরিশোধ করে বিদায় দেয়।
আদালতে হত্যা মামলাটির দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে চার্জশিটভূক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় দুই আসামীকে নির্দোষ হিসেবে রায় ঘোষণা করেন আদালত।