1. ezequielsreyes@gmail.com : admin : Md.Anamul Haque
  2. freelencershakil72@gmail.com : Sr Shakil : Sr Shakil
July 20, 2025, 8:05 pm
শিরোনাম :
সালাউদ্দিনকে ‘গডফাদার’ ডাকায় উত্তাল কক্সবাজার-এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে হামলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি নড়াইলের লোহাগড়াতে সন্তানের হাতে পিতা খুন শহীদ আবু সাইদ দিবস উপলক্ষে নড়াইলে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল নড়াইলের দিঘলিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকদল ৫১সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে পিরোজপুরে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পিরোজপুরের নাজিরপুরে সরকারি কর্মচারি ক্লাব ও পাঠাগারের নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান পাবনায় ডিবির বিশেষ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজসহ একজন গ্রেফতার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জোরপূর্বক বাংলাদেশে বাঙালি পুশইন আগ্রাসন চালাচ্ছেন।

ঝালকাঠিতে ঝুঁকি নিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিশুদের পাঠদান।

আবু সায়েম আকন-ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি।
  • সময়: Tuesday, August 30, 2022,
  • 204 Time View

ঝালকাঠিতে ঝুঁকি নিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিশুদের পাঠদান।

 

ঝালকাঠির রাজাপুরে ঝুঁকি নিয়েই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের ১০নং নৈকাঠি এস হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমন অবস্থা।

স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের থেকে জানাগেছে, ১৯৯৯ সালে চার কক্ষ বিশিষ্ট এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়।একটি কক্ষে অফিস আর তিনটি কক্ষে দুই শিফটে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত ছয় শ্রেনীর পাঠদান চলে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে মোট ৯৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। নির্মাণের পর থেকে এই ভবনটি একাধিক বার সংস্কার করা হয়েছে। গত কয়েক মাস আগেও এই ভবনটি সংস্কার করায় বাহির থেকে দেখে ফিটফাট মনে হলেও বর্তমানে ভবনটি নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ভবনের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। ভবনের পিলার ও সিলিংয়ের পলেস্তারা খসে পরে লোহার রড বের হয়ে গেছে। বর্ষাকালে ছাদ থেকে পানি পরে। বিদ্যালয়ে অন্যকোন ভবন না থাকায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যেই পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুলকর্তৃপক্ষ। এখন যে কোন সময় ভবনটি ধসে পড়তে পারে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা সব সময় অতঙ্কে থাকে।ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।বর্তমানে অবিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পায়। এ কারনে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে।

বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী সাইমুন হোসেন, সোয়াইব হাসান,আবির আহম্মেদ,রাবেয়া বসরী জানায়,ক্লাসরুমে মাঝে মাঝে ছাদের পলেস্তারা খসে আমাদের শরীরে পরে।ভয়ে আমাদের অনেক সহপাঠি এখন স্কুলে আসে না।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবিভাবক মোজাম্মেল তালুকদার,মরিয়ম বেগম,সুলতান মাঝী,সেলিম জমাদ্দার জানায়,স্কুলের ভবনটি জরাজীর্ণ,যেকোন সময় ভেঙ্গে পরতে পারে।তাই বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শফিউল আলম জানান,ভবনটি নির্মাণের সময়ই অনিয়ম হয়েছে।ভবনটির বর্তমান যে অবস্থা তাতে যে কোন সময় ভেঙ্গে পরতে পারে।তাই ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা জরুরী হয়ে পরেছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা শিরিণ বলেন, ভবনের এ অবস্থা দেখে ভয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে চায়না।দিনে দিনে স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।অবিভাবকদের মধ্যেও ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে অনিহা দেখা দিয়েছে।তাই এই ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনার পাশাপাশি একটি নতুন ভবন জরুরী হয়ে পড়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.মুনিবুর রহমান বলেন,বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কথা উপর মহলে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান আসেনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খরব
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা,ছবি,অডিও,ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। © All rights reserved © 2025
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Smart iT Host