রিপোর্টারঃ–সোহানা পারভিন জনি,নড়াইল-নড়াইল জেলার কালিয়ায় চাঞ্চল্যকর হাসিম মোল্যা হত্যা মামলার সাতজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬,র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব),এলিট ফোর্স হিসেবে অত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন,চাঁদাবাজি,ডাকাতি ও ছিনতাই চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন সংঘবদ্ধ ও সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
মামলার এজাহার পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মামলার ভিকটিম হাসিম মোল্যা (৩৮),পিতা-আঃ কাদের মোল্যা, সাং-ছিলিমপুর,থানা-কালিয়া,জেলা- নড়াইল এর বাড়ি ও আসামীদের বাড়ি একই গ্রামে।তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে।গত ১৫ মার্চ ২০২৫ তারিখ সকালে ভিকটিম তার বসত বাড়িতে অবস্থান করছিলো।হঠাৎ আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম ও ভিকটিমের পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সজ্জিত হয়ে ভিকটিমের বসত বাড়িতে অতর্কিত হামলা করে।তখন ভিকটিম ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উক্ত হামলার প্রতিবাদ করলে আসামীরা ভিকটিমকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।পরবর্তীতে অন্যান্য আসামীরা চাপাতি,ছ্যানা দা দিয়ে ভিকটিমকে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।এসময় ভিকটিম ও তার পরিবারের অন্যান্যদের ডাকচিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন ভিকটিম হাসিম মোল্যা (৩৮)’কে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।উক্ত হত্যা সংক্রান্তে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে নড়াইল জেলার কালিয়া থানায় ০১ টি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এছাড়াও উক্ত হত্যার বিষয়টি ব্যাপক চাঞ্চল্যকর হওয়ায় হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনসহ হত্যার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারে র্যাব-৬,সিপিসি-৩,যশোর ক্যাম্প ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬,সিপিসি-৩,যশোর ও ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্পের একটি যৌথ আভিযানিক দল ০৯ এপ্রিল ২০২৫ আনুমানিক ১৫:১৫ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে,গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন কালনা ব্রীজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার আসামী ১।মোঃ ইয়াসিন শেখ (২৮),পিতা-আঃ রউফ শেখ,২।মোঃ রাজা শেখ (৫২),পিতা-আঃ ছালাম শেখ,৩।মোঃ রাজুল শেখ (৩৫),পিতা-মোঃ মেলজার শেখ, ৪।মোঃ রকিবুল মোল্যা (৩২),৫।মোঃ হায়াত মোল্যা (৫০), উভয় পিতা-মোঃ খলিল মোল্ল্যা, ৬।মোঃ পারভেজ মোল্যা (৩০),পিতা-এলাহী মোল্যা,সর্ব সাং- ছিলিমপুর,আসামী ৭। লাকছু মোল্যা(৩৫),পিতা-মৃত ইব্রাহিম মোল্যা, সাং- চরমচন্দপুর,সর্ব থানা-কালিয়া,জেলা-নড়াইলদের’কে গ্রেফতার করে।উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
পরবর্তী আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীদের’কে নড়াইল জেলার কালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।