রিপোর্টারঃ আশিকুর রহমান শান্ত,ভোলা জেলা প্রতিনিধি-ভোলায় “সংগ্রাম-স্বাধীনতা, প্রেরণায় বঙ্গমাতা” প্রতিপাদ্য নিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও ভোলা জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এর আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও সেলাই মেশিন বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।মঙ্গলবার ৮ আগস্ট-২০২৩ইং সকাল ১১.৩০ মিনিটে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এবং সেলাই মেশিন বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহিদুজ্জামান (বিপিএম), জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ,এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলীল,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক)রিপন কুমার সাহা,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি)মোঃ আলমগীর হুসাইন, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন সহ জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ,উপকারভোগী মহিলাবৃন্দ,সুধীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য ৮ই আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী ১৯৩০ সালের এই দিনে বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে এ মহীয়সী নারী জন্মগ্রহণ করেন।বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান কার্যক্রম ও অসচ্ছল নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বিটিভি-তে সরাসরি উপভোগ করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা,বঙ্গমাতার বিভিন্ন দিক ও অবদান সম্পর্কে আলোকপাত করেন।তাদের আলোচনায় উঠে আসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের জন্মদিন আজ।গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শৈশব থেকেই তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যোগ্য সহযোদ্ধা হিসেবে পাশে ছিলেন মহীয়সী এই নারী। যে কারণে রাজনৈতিক জীবনে সফল হয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দিতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু।বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ মুজিবের বাঙালি জাতির জনক হয়ে ওঠার পেছনে ফজিলাতুন্নেছার অবদান,অনুপ্রেরণা ও আত্মোৎসর্গ অনস্বীকার্য।তার কারণেই একটি জাতির মনে স্বাধীনতার স্বপ্ন বপণ করে এর স্বাদও এনে দিতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে পেছন থেকে কাজ করেছেন শেখ মুজিবের প্রিয় ফজিলাতুন্নেছা।জীবন সংগ্রামের সব কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করেও তিনি পরিবার সামলেছেন বেশ গুছিয়ে। সবকিছুর পরও তিনিই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতির শ্রেষ্ঠ ছায়াসঙ্গী।
আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।পরে অসহায়/অসচ্ছল নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ ও আর্থিক সহায়তা ও প্রদান করা হয়।এসময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অসহায় নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ এবং অসচ্ছল নারীর মাঝে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।