রিপোর্টারঃ পরিতোষ কুমার বৈদ্য,শ্যামনগর প্রতিনিধি-সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সমাজ সেবা বা এনজিও ব্যুরো রেজিস্ট্রেশন ছাড়া নিজের মনগড়া আইনে কোটি কোটি টাকার সুদের কারবারের অভিযোগ উঠেছে আশিকুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে।আশিক উপজেলার আবাদ চন্ডিপুর (চুনা)গ্রামের মোহাম্মদ আলী সরদারের ছেলে।সে দোকানদারি পেশার আড়ালে তার এই অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে জনান ভুক্তভোগীরা।উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনীসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চড়ার সুদের কারবার করে আশিক।সম্প্রতি অনুসন্ধানে জানা গেছে,সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে একশ্রেণীর অসাধু সুদ ব্যবসায়ী তার মধ্যে আশিক অন্যতম।গরিব, অসহায় ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের অভাব-অনটনের সুযোগ নিয়ে নাম মাত্র টাকা দিয়ে বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে তাদের সর্বস্ব।অন্য সুদখোরদের থেকে আশিকের সুদের কারবার সম্পন্ন আলাদা।টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বর্ণালংকার জামানত হিসেবে রাখলে কোন সমস্যা নেই।যদি স্বর্ণালংকার না থাকে তাহলে বিশ্বস্ততা বা মর্টগেজ হিসেবে নেয়া হয় তারিখ ও টাকার অংক বিহীন ফাঁকা চেকের পাতা,সাথে থাকে ডেমি ও স্ট্যাম্প।টাকার পরিমাণ এর উপর নির্ধারণ করা হয় কয়টি চেকও স্ট্যাম্প নেয়া হবে। টাকা নেওয়ার পর নির্দিষ্ট তারিখে চাহিদা মত টাকা দিতে না পারলে শুরু হয় কথার অত্যাচার।তাতেও কাজ না হলে পেটুয়াবাহিনী দিয়ে হুমকি।এমন অত্যাচারের শিকার হয়েছে অসংখ্য মানুষ।মামলা,হামলা,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা মারাসহ বিভিন্ন ভাবে জিম্মি করে টাকা আদায় করে আশিক।তার এই অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে চায় সাধারণ মানুষ।এবিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন,অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তারপরও বিষয়টা আমি দেখছি।অভিযুক্ত আশিকুর রহমান আশিক সুদের ব্যবসার সত্য স্বীকার করে বলেন,আমি টুকটাক লেনদেন করি তবে কারো সাথে জোর জবরদস্তি করি না।আমার সাথে যারা লেনদেন করে সবার সাথে আমার সম্পর্ক ভালো আছে। সুধী সমাজের দাবি অচিরেই বন্ধ হোক সুদখোরদের অত্যাচার।