বগুড়ায় ইজিবাইক হারানো হায়দার আলীর (৪৭) পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা পুলিশ।শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বগুড়া পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তাঁর হাতে নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এই সময় পুলিশের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ে হায়দারের চুরি হওয়া ইজিবাইক উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর হায়দারের ইাজবাইক চুরির ঘটনা নজরে আসে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর। পরে তিনি দ্রুত সময়ে হায়দারের পাশে দাঁড়ান।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে গোহাইল রোড থেকে হায়দারের ইজিবাইক চুরি হয়।এ ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তাঁর মানবিক আবেদন পুলিশের নজরে আসে।এজন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে হায়দারকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও খাদ্য সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়েছে। এই চুরির ঘটনায় শনিবার বগুড়া সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।ইতিমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্তে কাজ করা হচ্ছে।থানা পুলিশের পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ গুরুত্বসহ ইজিবাইক উদ্ধারে কাজ করছে।হায়দারের সবরকম মানবিক আবেদনে পুলিশ কাজ করবে।এছাড়াও দ্রুত সময়ে তাঁর ইজিবাইক উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এই সময় হায়দার আলী গণমাধ্যমকে বলেন,আমার খারাপ সময়ে পুলিশ যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর জন্য কৃতজ্ঞ। ইজিবাইক চুরির পর থেকে স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।তবে পুলিশ আমাকে আশ্বাস দিয়েছে ইজিবাইক তাঁরা উদ্ধার করে দিবেন। উনারা আমাকে যেই সহযোগিতা করেছেন এতে আপাতত পরিবার নিয়ে খেয়ে পরে থাকতে পারবো। জমিজমা ও ধারদেনা করে গত রোববার ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ইজিবাইক কিনেছিলাম। এখন আমি নিঃশ্বাস।
এরআগে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে শহরে সাতমাথায় প্রবেশ করায় হায়দার আলীর ইজিবাইকের সিট খুলে নিয়ে জব্দ করে ট্রাফিক পুলিশ।পরে শহরের গোহাইল রোডে ইজিবাইক রেখে তিনি ট্রাফিক পুলিশের বক্সে যান সিট ছাড়িয়ে নিতে।অনেক কাকুতি-মিনতি করেও সিট না পেয়ে হায়দার ফিরে এসে দেখেন,ইজিবাইক নেই।পরে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও ইজিবাইকটি পাননি।জীবিকার একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে কান্না থামছিলো না হায়দারের। হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হায়দারের তিন সদস্যের সংসারের জীবিকার একমাত্র উৎস ছিল ইজিবাইকটি।
হায়দারকে উপহার প্রদানের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ)আব্দুর রশিদ ও (ডিএসবি)মোতাহার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।