রিপোর্টারঃ রবীন্দ্রনাথ সরকার,রংপুর জেলা প্রতিনিধি–বাংলাদেশ গীতা পরিষদের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন ও রংপুর জেলা শাখার অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। (শুক্রবার)সারাদিন ব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ হয়।রংপুর টাউন হলের সামনে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সকলে একত্রিত হয় এবং সেখান থেকে একটি বিশাল মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করে পায়রা চত্বর ও প্রেস ক্লাব হয়ে আবার টাউন হলে প্রবেশ করে।এসময় শুরুতে গীতাপাঠ এবং মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বলন করেন শ্রী রামজীবন কুন্ডু,সভাপতি,বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ রংপুর জেলা শাখা।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, কার্তিক চন্দ্র রায়,সহ সভাপতি বাংলাদেশ গীতা পরিষদ রংপুর।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা,মেয়র,রংপুর সিটি কর্পোরেশন,রংপুর।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুলাল চন্দ্র রবিদাশ,উত্তম কুমার হাওলাদার,প্রদীপ আচার্য,দীপক পাল,প্রদীপ কুমার মজুমদার, নিখিল কান্তি দত্ত,উৎফল ভৌমিক এবং আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বিমল কুমার রায়,সভাপতি,বাংলাদেশ গীতা পরিষদ সদর উপজেলা রংপুর,পরিতোষ কুমার মন্ডল,ইন্সট্রাক্টর কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।হৃদয় চন্দ্র বর্মন,প্রধান উপদেষ্টা,বাংলাদেশ গীতা পরিষদ মহানগর,রংপুর।প্রধান পৃষ্ঠপোষক,এ্যাড ধীরেন্দ্রনাথ বর্মন জর্জ কোট রংপুর,কান্তেশ্বর বর্মন।প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন শ্রী বিজন কান্তি ধর,সাধারণ সম্পাদক,বাংলাদেশ গীতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি,স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন দুলাল চন্দ্র রায়, সিনিয়র সহ সভাপতি,বাংলাদেশ গীতা পরিষদ রংপুর জেলা শাখা।অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন,শ্রী কালিপদ রায়, সভাপতি বাংলাদেশ গীতা পরিষদ রংপুর জেলা শাখা।
এসময় বাংলাদেশে গীতা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক বিজন কান্তি ধর বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন সনাতনী সম্প্রদায় অনেক পিছিয়ে পড়ার মূল কারণ আমাদের মাঝে গীতার জ্ঞান নেই,গীতা পড়ি না,ধর্মীয় চর্চা নেই,পড়ার মতো ভালো স্থান নেই তাই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে গীতা স্কুল বানিয়ে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের মাঝে গীতার বাণী প্রচারের চেষ্টা করছি।আমাদের নিজস্ব অর্থায়নের মধ্য দিয়ে এ কাজ নিরলস ভাবে করে চলছি দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত।সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপা হলে এভাবে একসময় তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত এ শিক্ষা ব্যবস্থা চালিয়ে যাবো।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন থাকবে আমাদের ধর্মপ্রাণ সনাতনী সম্প্রদায়ের মাঝে গীতার শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিটি মন্দিরে করে দেওয়া হয়।সেই সাথে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মন্দির নির্মান করা হয়।এটা আমাদের সকলের আবেদন।
প্রধান অতিথি মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন,আমরা সবাই মানুষ এটা আমাদের মানতে হবে,বাঙ্গালী জাতি এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এ দেশ স্বাধীন হয়েছে।সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একসাথে চলাফেরা করবে এটাই মূল উদ্দেশ্য।ধর্ম যার যার সেই সে ধর্ম পালন করবে।কারো ধর্ম পালনে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।তাই আসুন সুন্দর সুষ্ঠু ভাবে জীবন যাপন করি কাঁধে কাধ মিলিয়ে একসাথে মিলেমিশে বাস করি।শেষে কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে জেলা কমিটিদের ক্রেস্ট ও গীতা প্রতিযোগিদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ।গীতা পরিষদের রংপুর জেলার নবাগত কমিটি প্রকাশ।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রংপুর জেলা শাখার সম্মানিত সভাপতি কালিপদ রায় অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত ঘোষনা করেন।