ডেস্ক রিপোর্ট–যৌতুক নিরোধ আইনে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় জেল হাজতে স্বামী এ্যাডঃ আব্দুল হক গাজী এসকেন্দার।গত ২৬ জুন-২০২৩ইং খুলনার বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত এ্যাডঃ আব্দুল হক গাজী এসকেন্দারকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।লিখিত অভিযোগে মনোয়ারা খাতুন জানান,একে অপরকে ভালোবেসে ছাত্রাবস্থায় পাইকগাছার সোনাতনকাটি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সাকাত গাজীর ছেলে খুলনা জজ কোর্টের আইনজীবী আব্দুল হক এসকেন্দারের সঙ্গে ২০০৬ সালে তাদের বিবাহ হয়।ইশাণ নামে তাদের ৯ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।মনোয়ারা খাতুন আরও জানান,প্রায় ১০ বছর যাবতকাল তাহার পিতার বাড়িতে থেকে তার স্বামী খুলনার একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতো।লেখাপড়ার সিংহ ভাগ খরচসহ অন্যান্য ব্যয়ভার তাহার পিতা বহন করিতো।এছাড়া খুলনায় একটি ফ্লাট কেনার জন্য ২০২১ সালে তার স্বামীকে নগদ এককালীন ৭ লক্ষ টাকা দেয় তার বাবা।আরও ১০ লক্ষ টাকা দাবী করলে তা দিতে অস্বীকার করায় তার উপর নানা রকমের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়।এছাড়া ইয়াসমিন পারভীন বৃষ্টি ওরফে(ডলি)নামের এক মহিলার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে স্বামী এসকেন্দার।গত- ৩/৪/২০২৩ইং তারিখে খুলনা শহরের একটি জায়গায় তাদের অনৈতিক কাজে বাঁধা দেওয়ার পর থেকে তার উপর শারীরিক নির্যাতন আরও বেড়ে যায়।দফায় দফায় তাকে শারীরিক নির্যাতন করা সহ তাকে বড় ধরণের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।আরও ১০ লক্ষ টাকা না দিলে ডলিকে বিয়ে করে ১০ লাখ টাকা নিয়ে ফ্লাট কেনা হবে বলে তাকে জানানো হয়।এঘটনায় তার স্বামী ও ডলির বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় একটি জিডি করেন।জিডি নং-১১২৭ তাং ১৯/৪/২০২৩ ইং তিনি কান্না বিজজড়িত কন্ঠে আরও জানান,আনুমানিক প্রায় তিন মাস যাবত আমার ও আমার সন্তানকে কোন ভরণপোষণ না দিয়ে তার স্বামী ওই মহিলাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে।এই সব ঘটনায় তিনি গত ১০জুন-২০২৩ই তারিখে খুলনা উকিল বারে স্বামী এসকেন্দারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের পাশাপাশী ২৪জুন-২০২৩ইং তারিখে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।এ দিকে মিমাংসার নামে শ্বশুরের আহবানে ২৬জুন-২০২৩ইং তারিখে সোনাতনকাটী গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে গেলে প্রায় ৪ মাসের অন্তঃসত্বা মনোয়ারা খাতুনকে স্বামী সহ তার পরিবারের লোকজন বেধড়ক মারপিট সহ জখম করলে মারাত্মক আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে।এসময় সঙ্গে থাকা তার মাকেও লাঞ্চিত করেন।এঘটনায় গত ২জুলাই-২০২৩ইং তারিখে স্বামী এসকেন্দার ও শ্বশুর সাকাতগাজী এবং শাশুড়ি রমেছা বেগম সহ ৭জনকে আসামী করে পাইকগাছা থানায় একটি মামলা করেন।মামলা নং-৪/১৭২
এদিকে মামলা তুলে নিতে এসকেন্দারের ভাইয়েরা নানা রকম হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।তাদের অব্যাহত হুমকিতে মনোয়ারা খাতুন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে জানা যায়।