ডেস্ক রিপোর্টঃ–নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্ৰামের শেখ রিয়াজুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল(অন্তি ) (১৫) এবং একই গ্ৰামের লিপু সরদারের ছেলে সোয়াইব সরদার(১৭)উভয়ের মধ্যে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়।এই ভালোবাসার এক বছরের মধ্যে অন্য মেয়ের সাথে সোয়াইবের সম্পর্কের কারণ দাড়িয়ে আত্মহত্যা দিয়ে শেষ হলো অন্তির।প্রেমিককে অন্য মেয়েদের সঙ্গে দেখে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হল অন্তি।সূত্রে জানা যায় গত ২২ জুন-২০২৩ইং রাতে ভালোবাসার মানুষ সোয়াইব সরদারকে মুক্ত করে দিয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরবিদায় নিয়েছে।জান্নাতুল মেওয়া অন্তির মা বলেন,আমার মেয়ে জান্নাতুল মেওয়া (অন্তি)ও সোয়াইব সরদারের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক হয়।বেশকিছু দিন আগে তাদের সম্পর্কের মধ্যে কিছুটা অবনতি ঘটলে আমার মেয়ে আত্মহত্যার জন্য চেষ্টা করে,তারপর তাকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর প্রান বেঁচে যায়।তিনি আরও বলেন সোয়াইব একজন মাদকাসক্ত ছেলে।আমার মেয়েকে ছাড়া অন্য মেয়েদেরকে ও উত্ত্যক্ত করে।এই বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।এছাড়া কিছু দিন পর আমার মেয়েকে ভালো না লাগায় অন্য মেয়ের সাথে প্রেম করতে দেখে আমার মেয়ে সোয়াইবকে।জান্নাতুল মেওয়া অন্তি ইতনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীতে পড়ে।সোয়াইব সরদার পাশাপাশি ইতনা কলেজে এইচ,এস,সি ১ম বর্ষের ছাত্র।ইতনা কলেজের প্রিন্সিপাল অনিন্দ্য কুমার বলেন,সোয়াইব ও জান্নাতুল মেওয়া(অন্তি) ২জনের মধ্যে কলেজ ক্যাম্পাসে এলোমেলো অঙ্গ ভঙ্গিতে দেখেছি।আমি ২ জনের গার্জিয়ানকে বিষয়টি অবহিত করেছি।এবিষয় নিয়ে সোয়াইব সরদারের বাবা লিপু সরদারের বলেন,ওদের প্রেমের বিয়য় আমি কিছুই জানি না বলে।এসময় তার কাছে সোয়াইব এর বিষয় বলেন তার ছেলে ঢাকায় আছে বলে জানান।কিন্তু সে এলাকায় আছে বলে জানা যায় স্থানীয় লোকজন দেখেছেন।নাম না প্রকাশে কয়েকজন ব্যক্তি এই বিষয়টি জানান।
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ নাসির উদ্দীন জানান আত্মহত্যার খবর শুনে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।একটি ইউ,ডি মামলা হয়েছে।মেয়েদের পক্ষ থেকে কোন মামলা করলে পুলিশ প্রকৃত তদন্তের জন্য নামবে।সত্য ঘটনা উদঘাটনের মূল রহস্য বের করার জন্য।