ডেস্ক রিপোর্টঃ—নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয়।মুখোমুখি অবস্থান নেয় দুই গ্রামের লোকজন।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে।এসময় তারা পুলিশের ওপরও হামলা করে। হামলায় মুন্না হোসেন(২৫)নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।সোমবার ১৯জুন-২০২৩ইং রাতে লক্ষীপাশা ইউনিয়নের ঝিকড়া পাকার মাথা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।এ হামলায় পুলিশের একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আহত পুলিশ সদস্যকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।মুন্না হোসেন লোহাগড়া থানায় পুলিশ কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন।এসময় হামলার সাথে জড়িত থাকায় লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের হামারোল গ্রামের মৃত শাখাওয়াত খানের ছেলে আক্তার খানকে(৫৩)আটক করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় আমাদা গ্রামের আক্তার খানের মেয়ে বিথী খানম ও ছেলে নয়ন খান পার্শ্ববর্তী ঝিকড়া পাকার মাথা বাজারে মাছ কেনার জন্য আসেন। মাছ বিক্রেতা পূর্বে স্থানীয় লোকজনের কাছে ২০০ টাকা দরে বিক্রয় করলেও ওই নারী ক্রেতার কাছে ১৬০ টাকা দরে করে বিক্রয় করেন।এ সময় ওই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা লক্ষীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ঝিকড়া গ্রামের কামাল শেখের ছোট ভাই সজিব শেখ নারী ক্রেতাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন।বিথী বাড়ি ফিরে তার পিতা আক্তার খা ও আমাদা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শওকত খানের নিকট অভিযোগ করেন।পরে তাদের নেতৃত্বে ৫০থেকে ৬০জন এসে ঝিকড়া বাজারে হামলা করবে এমন তথ্য পাওয়ায় ইউপি সদস্য কামাল তার লোকজন নিয়ে পাল্টা হামলার পরিকল্পনা করেন।দুই গ্রামের লোকজন মুখোমুখি অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে।এ সময় তারা পুলিশের ওপরও হামলা করে।ইট-পাটকেলের আঘাতে পুলিশের গাড়ির কেবিন গ্লাস ও লুকিং গ্লাস ভেঙে যায়।এ সময় পুলিশ আহত হয়।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মোঃ নাসির উদ্দীন বলেন,বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।আহত পুলিশ সদস্যের চিকিৎসা চলছে।রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করায় তাৎক্ষণিক একজনকে আটক করা হয়েছে।ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে নড়াইল পুলিশ সুপার মোসা: সাদিরা খাতুন বলেন,পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া মোটেও বরদাস্ত করা হবে না।তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।