রিপোর্টারঃ আশিকুর রহমান শান্ত–ভোলা সদর উপজেলার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর মাঠ সহকারী কর্মী মোঃ শামীমকে চাহিদা মতো ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে গ্রাহক নোমান জুয়েল কে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এর অফিস রুমে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মেরে ও বসার চেয়ার দিয়ে মেরে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে।বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে ভোলা পল্লী উন্নয়ন সঞ্চয় ব্যাংকের অফিস রুমে এই ঘটনা ঘটে।গ্রাহক নোমান জুয়েলকে মাঠকর্মী শামীম অফিস রুমের মধ্যে এলোপাতাড়ি মারধরের কারণে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে কিছু সময়ের জন্য জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।পরে খবর পেয়ে তার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।বর্তমানে তিনি ভোলা সদর হাসপাতালের ১৩ নাম্বার কেবিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে ভুক্তভোগী গ্রাহক নোমান জুয়েল ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও পল্লী উন্নয়ন সঞ্চয় ব্যাংক এর ভোলা জেলা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লিখিত অভিযোগে নোমান জুয়েল বলেন আমি ভোলা চরকুমারীয়া গ্রাম উন্নয়ন দলের (ম্যানেজার) হিসেবে কাজ করছি।আমি ভোলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক উত্তর দিঘলদী ইউনিয়ন শাখা হইতে ঋণ গ্রহণ করিয়া উহা পরিশোধ করি। পরবর্তীতে আমার বিশেষ প্রয়োজনে পুনরায় ১০০০০০/- (এক লক্ষ) টাকা লোন নেওয়ার আবেদন করলে উহা পাশ হয়।বিগত ১৪/০৬/২০২৩ইং তারিখে আমি টাকা আনতে গেলে সার্ভারের সমস্যা থাকায় ম্যানেজার আমাকে বলেন আপনি টাকার জন্য আগামীকাল আসেন।এই বলে ম্যানেজার চলিয়া যায়।তার পর উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠ সহকারী মোঃ শামীম আমাকে ডেকে তার রুমে নিয়ে যায়।রুমে গেলে আমাকে বলে তোমার ঋণ পাশ করিতে আমি খুব কষ্ট করছি।এখন সার্ভারের সমস্যা আছে।আমাকে ৫০০০/-(পাঁচ হাজার)টাকা ঘুষ দাও, নচেৎ তোমার টাকা দেওয়া হবে না।উহা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় শামীম আমাকে এলোপাথারী ভবে-কিল, ঘুষি মেরে ও বসার চেয়ার দিয়ে তারিখ মেরে আমাকে দ্রুত আহত করে।এমনকি আমার শার্টের পকেটে ২০০০/- (দুই হাজার)টাকা জোড় পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন অফিসে থাকা মাঠ সহকারী হুমায়ুন ও মমিন আমাকে শামীমের কাছ থেকে উদ্ধার করে।তখন আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার পিতা-আবুল কালাম কে ফোন করি।তারপর আমার পিতা ও স্ত্রী এসে আমাকে নিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করার জন্য ভর্তি করে। যাহার রেজিঃ নং- ৩৩০০৫২/১৫৪। বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাদিন অবস্থায় আছি।
উক্ত মার ধরের বিষয় জানার জন্য পল্লী উন্নয়ন সঞ্চয় ব্যাংক ভোলা সদর উপজেলা ম্যানেজার এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি একটি প্রোগ্রামে আছেন,তাই তিনি এখন কথা বলতে পারবেন না বলে কলটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে ভোলা পল্লী উন্নয়ন সঞ্চয় ব্যাংকের জেলা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,উক্ত ঘটনাটি সদর উপজেলা ম্যানেজার আমাকে জানিয়েছে।আমি ম্যানেজার কে ঘটনাটির তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।তবে তারপর কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটি আর তিনি আমাকে জানানি।
উক্ত ঘটনার বিষয় অভিযুক্ত শামীম এর সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি মোবাইলের কলটি রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।