রিপোর্টারঃ আবু সায়েম আকন–ঝালকাঠির রাজাপুরে ছাগল চুরির মিথ্যা অপবাদ স্বীকার করাতে মধ্যযুগীয় কায়দায় এক মাদ্রাসা ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এসময় নির্যাতন কারীরা ঐ ছাত্রকে গাছের সাথে বেঁধে নেয়।বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আংগারিয়া খান বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের স্বীকার মাদ্রাসা ছাত্রের নাম মো. শামিম হাওলাদার (১৭)সে দক্ষিন আংগারিয়া এলাকার মো. ফারুক হাওলাদারের ছেলে ও দক্ষিন আংগারিয়া দারুলহুদা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেনীর ছাত্র।
স্থানীয়রা জানায়, গত বুধবার (৭জুন) স্থানীয় আমজেদ খানের ছেলে রফিক খানের একটি ছাগল চুরি যায়।রফিক ঐ ছাগল চুরির বিষয় বেল্লাল খানকে সন্দেহ করেন।কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের অপরাধ অন্যের ঘাড়ে চাপাতে শফিক ও মুজাহার খানের তিন ছেলে দুলাল খান,বেল্লাল খান,সোহেল খান রাস্তায় ইজিবাইক থেকে শামিমকে ধরে নিয়ে শফিকের বাড়ির পাশে একটি গাছের সাথে বাঁধে। এ সময় শামিমকে ছাগল চোর সাজাতে তার স্বীকারউক্তি নিতে তাকে মারধর করে।খবর পেয়ে রাজাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শামিমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
ভূক্তভোগী শামিম হাওলাদার জানায়,অভাব-অনাটনের সংসার হওয়ায় লেখা-পড়ার পাশাপাশি ইজিবাইক চালিয়ে সংসারের খরচ যোগান দিতে হয় শামিমের।বৃহস্পতিবার দুপুরে শফিক,দুলাল খান,বেল্লাল খান,সোহেল খান রাস্তায় ইজিবাইক থেকে ধরে নিয়ে শফিকের বাড়ির পাশে একটি গাছের সাথে বাঁধে এবং ছাগল চুরির দায় স্বীকার করতে বলে।
অভিযুক্ত মো.বেল্লাল খান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়,মারামারির কথা শুনেছি।পরে পুলিশ এসে শামিমকে উদ্ধার করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দিয়েছে তাও জানি।কিন্তু ঐ সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, ছেলেটাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।তবে তাকে গাছের সাথে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়নি।এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি।