নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলাধীন মোসাঃ পপি খানম পিং ছক্কু খান,মাতা-সাবিনা বেগম,সাং গোপিনাথপুর,ডাকঘর-লক্ষীপাশা,উপজেলা-লোহাগড়া,জেলা-নড়াইল ২জুন-২০২৩ইং রোজ শক্রবার আনুমানিক সকালের দিকে লক্ষীপাশা বাসস্ট্যান্ডের বাজারে ঘটনাস্থল স্বামী মোঃ রুহুল আমিন,পিতাঃ মোঃ আলি মিয়া,মাতাঃরিজিয়া বেগম,সাং ধোপাদাহ,উপজেলাঃ লোহাগড়া,জেলাঃ নড়াইলদ্বয়সহ ৩/৪ জন মিলে স্ত্রী পপি খানমকে প্রকাশ্যে দিবালোকে লোকজনের মাঝে মারপিট করে।পপি খানম বাজার করার উদ্দেশ্য লক্ষীপাশা বাসস্ট্যান্ডের বাজারে আসিলে স্বামী মোঃ রুহুর আমিন ৩/৪জন মিলে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে চড়,ঘুষি,লাথি মারে।সেই সাথে পপি খানমের পোশাক ছিড়িয়া নগ্ন অবস্থায় বসিয়ে রাখে।পপি খানমের চিৎকারের কারনে এগিয়ে আসে সাধারন জনগন।এসময় একজন নারীকে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় অমানুষিক নির্যাতনের বিষয়টি দেখে পথচারী ও ভ্যান ড্রাইভার আসিয়া ঠেকায় এবং ঘটনা দেখেন ও শোনেন।পরবর্তীতে লোকজনের সমাগম দেখে স্বামীসহ তার লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়।স্বামীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির আইনের ১০৭ধারা মতে Proceding স্থাপন করতঃ একই আইনের ১১৭(গ)ধারা মতে কঠোর মুচলেকায় আবদ্ধ রাখিবার বিহিতাদেশ করেন।জানা যায় ৩/৪টি বিবাহ করেন স্বামী রুহুল আমিন।নড়াইল লোহাগড়া আমলী আদালতে সি আর ১৩১,২০২- সূত্রে জানা যায় ২৬ জানুয়ারী২০১৫ইং তারিখে রেজিঃ কাবিননামা মূলে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন হয়।স্বামী ঘরের আসবাবপত্র পপি খানমের পিতা বিবাহের দিন দেয় যাহার মূল্যে আনুমানিক ২লক্ষ ৮০হাজার টাকা।বিভিন্ন সময় নগদ টাকা দেয় আনুমানিক ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা।বিবাহের পর দুইটি সন্তান জন্ম হয়।সন্তানদের নাম মোঃ আলিফ শেখ(০৬)মোসাঃ মিম আক্তার(০১)।তার বিবাহের পর যৌতুক লোভী প্রায়ই যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে।স্বামী রুহুল আমিন নেশাগ্রস্ত প্রকৃতির লোক,নেশা করে স্বামী স্ত্রী পপি খানমকে ও তার সন্তানদেরকে পিতৃগৃহে পাঠিয়ে দেয় এবং বলে ২লক্ষ টাকা আনার জন্য বলে।এব্যাপারে পপি খানমের পিতা বিষয়টি মিমাংসার জন্য ৫মে-২০২৩ইং তারিখ সন্ধ্যার পর মোঃ রুহুল আমিন এর বাড়িতে আসে।রুহুল আমিনের পরিবার ২লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করেন।যৌতুকের টাকা ছাড়া স্ত্রীর মর্যাদা দিবেন না স্বামী রুহুল আমিন।সংসারে ফিরাইয়া নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন মেয়ের পিতা।পরিশেষে ২৮মে-২০২৩ইং তারিখে মোকাম বিজ্ঞ লোহাগড়া আমলী আদালত নড়াইল মামলা দায়ের করেন।মোকাম বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নির্যাতিত মোসাঃ পপি খানম মামলা করেন,মোঃ রুহুল আমিন(৩১)পিতা,মোঃ আলি মিয়া,মোসাঃ চাঁদনি বেগম(২৮)পিতা মুকলেছ উদ্দিন,মোসাঃ রিজিয়া বেগম(৪৫)স্বামী আলি মিয়া,সৈয়দ বাবু(৪৫)পিতা সৈয়দ তরজন আলী,সর্বসাং ধোপাদাহ,ডাকঘরঃ কাশিনগর,লোহাগড়া,নড়াইল।পপি খানম তার সন্তানদের দেনমোহর খোরপোষ আদায় বাবদ মোকাদ্দমা-বিজ্ঞ পারিবারিক জজ আদালতে বিষয়টি অবহিত করেন।মামলা নং ৪/২৩,মামলা নং ১৭৬/২৩ বিস্তারিত লিখিত প্রমান রয়েছে।এদিকে স্বামী মোঃ রুহুল আমিন বিভিন্ন সময় মামলা তোলার জন্য ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন।বর্তমান পপি খানমসহ তার সন্তানদের কোন নিরাপদ নেই বলে জানান।পপি খানমের দাবি মামলার পর ও আসামী রুহুল আমিন আইন অমান্য করেছেন তবু আদালত কেন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।দুই সন্তানের জননী মোসাঃ পপি খানম বলেন বিজ্ঞ আদালতের নিকট সঠিক বিচারের আশা করেন।