রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের রাজিয়া বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম হিরু কতৃক একই স্কুলের ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীকে শীলতা হানির চেষ্টা ও এ ঘটনা প্রাকাশ করলে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট(টিসি) দিয়ে বেড় করে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। উক্ত উত্থাপিত অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে।সরেজমিনে জানাযায়,গত ২৫ শে মে-২৩ বৃহস্পতিবার জেলাধীন চন্দনী রাজিয়া বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীর ৭ম পিরিয়ডের সময় আসরাফ হোসেন নামে এক শিক্ষক ভিক্টিম ছাত্রীর হাত লক্ষ করে বেত দ্বারা স্ব-জোরে আঘাত করেন। আঘাতে ছাত্রীর হাত ব্যথায় চিৎকার করে এবং ফুলে যায়৷ উক্ত বিষয় নিয়ে ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের নিকট মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ নিয়ে যায়। অভিযোগ শুনার পর প্রধান শিক্ষক ছাত্রীকে কাছে আসতে বলেন ও আঘাতের স্থান দেখতে চান।পরবর্তী ভিক্টিম ছাত্রীর আঘাতের স্থানে হাত বুলাতে বুলাতে সুযোগ বুঝে গায়ে হাত দেন।প্রধান শিক্ষক হিরু’র হাত থেকে ঝাটকা দিয়ে ছুটে বাহিরে বেড় হয়ে যান ভুক্তভোগী ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে।ভুক্তভোগী ছাত্রী তার পরিবারের কাছে জানালে,পরিবার সামাজিক লাজ-লজ্জার ভয়ে চুপ থাকেন।কিন্তু, একই শ্রেণী কক্ষে পড়ুয়া ছাত্রীরা এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ভুক্তভোগী ছাত্রী সহ সবাইকে অফিস কক্ষে আটকে পরিক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়াসহ, ভুক্তভোগী ছাত্রীকে টিসির মাধ্যমে বহিষ্কারের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।যার ভিডিও চিত্র সহ একাধিক ভুক্তভোগী ছাত্রী ও স্কুলের স্টাফদের সাথে নানা অপকর্মের বিষয়ে ভিডিও বক্তব্য এই প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষিত রয়েছে।ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাড়িতে ভুল শিকার পূর্বক ক্ষমা চাইতে গেলে উক্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার বিষয়ে জানান ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ও মা।ভুক্তভোগী ছাত্রী বৃষ্টি জানায়, আমাকে আশরাফ স্যার বেত দিয়ে প্রচন্ড বেগে বাড়ি মারে।এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করলে তিনি আঘাতের স্থান দেখতে চেয়ে কাছে ডেকে আমার গায়ে হাত দেয়।তখন আমার সঙ্গে আশা ও হাফসা ২জন বান্ধবী উপস্থিত ছিল।আমি তখন ঝারা দিয়ে ছুটে গিয়ে স্কুল হতে বাড়ি চলে যাই ও আমার মাকে জানাই।একজন শিক্ষক পিতা সমতূল্য।সে প্রধান শিক্ষক হয়ে,রক্ষক হয়ে ভক্ষক।আমি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষেরর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।দযেন ওনার নজীর বিহীন শাস্তি হয়।অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পূর্বে একাধিক ছাত্রীকে যৌন লাঞ্চিত করার বিষয়েও অভিযোগ রয়েছে।রিমা নামক এক ছাত্রীকে নিয়ে স্থানীয় শালিসে সমাধান হয়। পূর্বে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে যৌন হয়রানি সহ ছাত্রীকে বিবাহ করার নজির রয়েছে।আয়াকে যৌন লাঞ্ছিত করা সহ প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম সহ অর্ধ শতাধিক অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক হিরুর বিরুদ্ধে। অনেকে লাজলজ্জার ভয়ে চেপে গেছেন।রাজিয়া বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নাম প্রকাশ না করা সত্যে ভিডিও বক্তব্যে বলেন,এই প্রধান শিক্ষক হিরু পরিক্ষার সময় ছাত্রীদের পাছা লক্ষ করে থাপ্পড় দিয়ে বলেন,দেখলাম নকল আছে কিনা। আবার নিতম্বের উপরে কোমরে আঙুল দিয়ে খোঁচা দিয়ে বলে পরিক্ষা কেমন হচ্ছে? পিতা মাতার পর শিক্ষক।তিনি যদি এরকম করে তাহলে আমরা যাবো কোথায়? আমরা এর দৃষ্টান্ত মূলক বিচার চাই।
একই স্কুলের স্টাফ বলেন,স্যার খুব ভালো মানুষ! কিন্তু,তার হাত পায়ের দোষ।যেখানে সেখানে চলে যায়।এর মতো চরিত্র হীন শিক্ষক জাতির কলঙ্ক।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যের জন্য,৪ঠা জুন-২৩, ৩টা ৫৫ মিনিট হতে ৪টা ৩১মিনিট পর্যন্ত একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।