ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চর-কুমারিয়া গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রবাসী মোঃ মোছলেম নামের এক ব্যক্তির রান্না ঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠেছে তারই প্রতিবেশী আনোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে।শনিবার ১৫ মে-২০২৩ইং গভীর রাতে উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের তোয়াব আলী ডাক্তার বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।প্রবাসীর মেয়ে ভুক্তভোগী রিমা আক্তার(২০)অভিযোগ করে বলেন,প্রতিদিনের মতো তার মা,সে নিজে ও তার ফুফু ঘুমিয়ে পড়ে। তারা ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালীন আনোয়ার ও তার ছেলে তানজিল,তানভীর মিলে আমাদেরকে হত্যা উদ্দেশ্যে আমাদের রান্না ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় । আগুনের তাপে যখন ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে তখন আমার ফুফুর হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায়।তার ডাকা ডাকিতে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমাদের রান্নাঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।তখন আমাদের ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।দেশের বাইরে থাকা মোছলেম এর বোন ভানু বেগম বলেন,আমি ৬ রোজা রাখবো তার জন্য ঘুম থেকে উঠে দেখি রান্না ঘরে আগুন জ্বলছে।তা দেখে চিৎকার করলে লোকজন জড়ো হলে সবাই মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।এক পর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।প্রবাসী মোছলেম এর ভাগিনা মোঃ শফিক বলেন,জমিজমার বিরোধ নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিছে বলে দাবি করেন তিনি।এ ঘটনায় তিনি প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেনের পরিবার ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের দোষারোপ করেছেন।সেই সাথে এ ধরনের নেক্কার জনক ঘটনার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,মোছলেমের ঘরে আগুন ধরে উঠলে তার বাড়িসহ আশেপাশের আরো অনেকের বাড়ি পুড়ে যেত।এ ঘটনাটি যারা ঘটাতে চেয়েছে তারা অমানুষের কাজ করেছে। তারা দোষীদের সনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।প্রবাসী মোছলেম এর স্ত্রী বলেন,প্রতিপক্ষের লোকজন দলেবলে শক্তিশালী। তাছাড়া ঘরে আমি আমার একটি যুবতী মেয়ে নিয়ে থাকি।তাই সব সময় ভয় থাকি কারণ এ আনোয়ার মানুষ ভালো না।যেকোনো সময় আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে নির্যাতন চালাতে পারে। তার জন্য সে অনেক অত্যাচার করার পরেও আমরা তাকে কোন কিছু বলিনি।কিন্তু দিন দিন তার অত্যাচারের মাত্রা বেরিয়ে চলছে।জমির বিরোধ নিয়ে আমার পরিবারের সকলকে হত্যার ষড়যন্ত্র অমানবিক।অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি কালকে জামিন পেয়ে বাসায় এসেছি।
এ বিষয় একটি লিখিত অভিযোগ প্রক্রিয়াদিন রয়েছে।