বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুস্থ্য মহিলা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ভিজিডি প্রকল্পে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানার অনিয়ম-অন্যায় অর্পকর্ম ছাড়া ও বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন।নানা অনিয়মের পর আবার উপজেলা আড়িয়া ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডধারী নারী নাম ঠিকানা গোপনে পরিবর্তন করে দেবার শর্তে ১লক্ষ টাকা ঘুষ বানিজ্যর অভিযোগ ওঠেছে।ঘুষ নিয়ে ও ভিজিডি তালিকায় অসহায় ও দুস্থ্য নারীদের নাম দিলে গতকাল রবিবার ১৯ মার্চ-২০২৩ইং সকালে উপজেলা পরিষদে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা সঙ্গে আড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানের বাগ-বিতন্ডা হয়।বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীরা জেনে যাওয়ায় এক ইউপি সদস্যকে উপজেলা ডেকে ১লক্ষ টাকা ফেরত দেন অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা।আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন,গত ১৫দিন আগে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা ভিজিডি কার্ড প্রতি ১হাজার করে টাকা নিয়ে গোপন ভাবে অনলাইন সংশোধন করে দেওয়া কথা জানাই। কিন্তু তাতে আমি রাজি না হয়ে তাৎক্ষণিক বিষয়টি ইউএনও জানাই।এবিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে আরেক ইউপি সদস্য ওবায়দুল ইসলাম বলেন আমরা প্রথমে অসহায় ও দুস্থ্য কার্ডধারী কাছ থেকে টাকা না তুলে আমাদের বেতন টাকার অংশ দিতে চাই ছিলাম।আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমানকে এবিষয়ে জানতে চেয়ে মোবাইলে একাধিক বার ফোন দিয়ে ও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।ঘুষের নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা মোবাইল ফোনে বক্তব্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে বলেন আগামীকাল কাল অফিস আসেন এবিষয়ে আলোচনা হবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম জানান,আমি এব্যাপারে তেমন কিছুই জানি না। প্রয়োজনে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।উল্লেখ্য,এর আগেও এই মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময় অফিস না আসা,প্রশিক্ষণার্থী বাছাইয়ে দুর্নীতি,দায়িত্বে অবহেলাসহ নানা অভিযোগ উঠে।প্রতিদিন বেলা ১১টার আগে আফিসে আসেন না।এমনটি জানিয়ে ছিলেন তার অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম আকাশ।উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর কিশোরী ক্লাবের আরেক জেন্ডার প্রমোটর অভিযোগ করে বলেন আমাদের ক্লাব গুলোর বাজেট বরাদ্দ আমাদের হাতে দেয় না।আর কত বাজেট থাকে এগুলো বিষয় কিছুই জানায় না।বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্লাবগুলোর সম্ভবত ১হাজার টাকা মত বাজেট ছিল।এখানে শুধু একটা ব্যানার ছাড়া আর কিছুই দেয়নি।গত ব্যাচের সেলাই প্রশিক্ষণার্থী সাজেদা বেগম বলেন,আমাদের সম্মানী ভাতা ১২ হাজার টাকার স্থলে রেবেকা সুলতানা ম্যাডাম ৬হাজার টাকা দিতে ধরছিল পরে সকলের তোপের মুখে ১২হাজার টাকা দিতে বাধ্য হন তিনি।
প্রতিদিন বেলা ১১টার পরে অফিস আসার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বলেন,আমি উপজেলা পরিষদের ক্যাম্পাসেই থাকি।বাসা থেকে আমার অফিসে আসতে সময় লাগে মাত্র ২মিনিট।তার মানে আমি ২৪ঘন্টা অনডিউটিতে আছি।প্রশিক্ষণে ১২হাজার টাকার স্থলে ৬হাজার টাকার কথা সত্য নয়।করোনা কালিন সময়ে সব পেমেন্ট কমানো হয়েছিল। অফিস থেকে ভুল করে ৬হাজার টাকার চিঠি করা হয়েছিলো।পরে সম্পূরক করে টাকা উত্তোলন করে ১২হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে-৯টি ক্লাবের প্রত্যেকটির জন্য ১হাজার টাকা করে বরাদ্ধ ছিলো। সেই টাকা থেকে তাদের জন্য ব্যানার করে দিয়েছি এবং বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে খরচ করেছি।