স্টাফ রিপোর্টারঃ—নড়াইল জেলা লোহাগড়া উপজেলার ০৮নং দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৮মার্চ রোজ বৃহস্প্রতিবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চাউল বিতরন করেন।উপস্থিত পরিষদের সচিব মোঃ নুরুল ইসলাম,সহকারী সচিব মোঃ মিরাজুল ইসলাম,কম্পিউটার অপারেটর মোঃ সজল,০৯টি ওয়ার্ড সদস্যগন ও মহিলা সদস্য সহ গ্রাম্যপুলিশ,বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিত্বগন,সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা সমাজ সেবার পক্ষ থেকে মোঃ নেয়ামুল ইসলাম।
চাউল বিতরন বিবরণী প্রতিটি ওয়ার্ডের ভোটার সংখ্যা হিসাব করে চাউল বিতরন করেন।পরিষদে চাউল আসছে ৫টন ৫৪৫কেজি চাউল,প্রতি চাউলের বস্তায় ৫০কেজি মোট ১০৯বস্তা চাউল ঈদ উপলক্ষে সরকারিভাবে পরিষদে বরাদ্দ হয়।
প্রতিটি লোকের জন্য বরাদ্দ ১০কেজি চাউল।তবে ১০কেজি বরাদ্দ থাকলেও পরিষদে লোকের উপস্থিতিতি ছিলো আনুমানিক ২হাজারের মতন।আর জনসংখ্যা পরিমানে বেশি হওয়ার কারনে ৭/৮কেজি চাউল বিতরন করেন ওয়ার্ড মেম্বারগন।যেখানে ওয়াডে ৩০/৪০জন করে চাউল পাবে সেখানে জনসংখ্য বেশি হওয়ার কারনে কম দিয়ে সকলকে চাউল বিতরন করেন।
চাউল দেওয়ার সময়ের ছবি-
পরিষদ মেম্বারদের কাছে জানতে চাইলে বলেন লোকের হার বেশি হওয়ার কারনে চাহিদা মেটাইতে সম্ভব হচ্ছে না।একারনে কাউকে খালি হাতে ফিরাইবো না বলেই নিয়ম অনুযায়ী থেকে কম করে চাউল বিতরন করতে হচ্ছে। ৮কেজির একটি প্লাস্টিকের বালতি করে চাউল দেওয়া হয় গ্রাম্যপুলিশের মাধ্যমে কিন্তু চাউল দ্রুত দেওয়ার কারনে কম হতে পারে তবে আমরা চাউল বাড়িতে নিয়ে যাইনি।সাধারন জনগনের মাঝে বিতরন করেছি সকলের উপস্থিতিতিতে।
এছাড়াও দেখা যায় চাউল দেওয়া শেষ হওয়ার পর কুমড়ী ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ মানিক মিয়া তিনি নিজ পকেট থেকে মানবিক দৃস্টিতে ২জন ব্যক্তিকে ৪শত টাকা দেন চাউল কেনার জন্য।
সাধারন জনমতে জানা যায়,ঈদ উপলক্ষে ৫টন ৫৪৫কেজি চাউলের পরিবর্তে আরেকটু বেশি চাউল পরিষদ আসলে হয়তো চাউলের সংকট হতো না।বরং প্রতিটি মানুষের চাহিদা মেটানো সম্ভব হতো বলে মনে করেন।
পরিষদের সচিব মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন আমার দায়িত্ব প্রতিটি ওয়ার্ড মেম্বারদেরকে চাউল বুঝিয়া দিয়েছি।আমি আমার নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে চাউল দিয়েছি।তবে পরিষদে জনসংখ্যার হার অধিক হওয়ার কারনে মেম্বারগন ১০কেজি চাউলের পরিবর্তে ৮কেজি করে চাউল দেওয়া হয়।প্রত্যেকটি লোক চাউল মেপে বুঝে নিয়ে যায় তবে কিছু সংখ্যক লোক বাহিরে যেয়ে চাউল সরিয়ে সাংবাদিকদের দেখিয়েছে ৬/৭কেজি চাউল পেয়েছি। এটা নিয়ে মিডিয়া তিলকে তাল করার চেষ্টা করছে।তিনি আরও বলেন আমি দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে দীর্ঘদিন কর্মরত আছি। এধরনের ষড়যন্ত্র হই নাই তবে কি কারনে আমার প্রতি ষড়যন্ত্র করতেছে আমি জানি না।আমার দায়িত্ব থেকে ১০০% সঠিক আছি এবং যতদিন চাকুরি আছে ততদিন সঠিক দায়িত্ব পালন করে যাবো।আমাকে নিয়ে যে সকল মিডিয়া ষড়যন্ত্র করে উল্টাপাল্টা প্রচার করে যাচ্ছে আমার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করছে তাদের বিচার চাই।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অবহিত করতে চাই আমি সচিব নুরুল ইসলাম পরিষদের দায়িত্ব পালন করছি কোন প্রকার ভুল আছে কিনা যাচাই করার আহবান।সেই সাথে আমার মানসম্মান নষ্ট করার চেষ্টা চলছে সঠিক বিচারের দাবি করছি।
পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান অমল কৃষ্ণ ঘোষ বলেন আমার উপস্থিত ও সকল মেম্বারদের নিয়ে ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড মেম্বারদের চাউল ভাগ করে দেওয়া হয়।চাউলের বিষয় জানতে চাউলে তিনি বলেন প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে আনুমানিক ১৫০শত থেকে ২শত লোক আসছে ঈদের চাউল নিতে কিন্তু ওয়ার্ড মেম্বার যে চাউল পেয়েছে তবে ১০কেজি করে চাউল প্রতিজনকে দিতে গেলে হবে না।একারনে কমবেশি করে চাউল বিতরন করেন সকলের মাঝে।এছাড়া কোন উপায় নাই বলে জানান জনপ্রতিনিধি।জানা যায় ঈদ উপলক্ষে চাউলের পরিমান কম তবে উপস্থিত লোকের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারনে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।