স্টাফ রিপোর্টারঃ-নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা এলাকায় কথিত লোহাগড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে দুই সাংবাদিককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,এস এম আলমগীর কবির সম্প্রতি ইউনিটির অফিস থেকে কম্পিউটার,ক্যামেরা ও নগদ টাকা চুরির অভিযোগ এনে ইতনা গ্রামের এস এম দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাংবাদিক শ ম কামাল হোসেন এবং আড়পাড়া গ্রামের সাংবাদিক রিয়া শারমিনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে দুই সাংবাদিক অভিযোগ করে জানান,মামলা দায়েরের পেছনে মূলত ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ও অনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।সাংবাদিক রিয়া শারমিন দাবি করেন, ইউনিটির মহিলা সম্পাদিকা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় আলমগীর কবির তাকে কুপ্রস্তাব দেন এবং ভারতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রায় ছয় মাস আগে তাকে ইউনিট অফিসে যাওয়া নিষিদ্ধ করেন এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।এরই ধারাবাহিকতায় তার নামে চুরির মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়।
সাংবাদিক শ ম কামাল হোসেন এবং রিয়া শারমিন আরও বলেন,রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ৪-৫ জন নারী সদস্য রয়েছেন।আলমগীর কবির তাদের ওপর অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করেন।কেউ রাজি না হলে তাকে সদস্যপদ বাতিল করে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়।
তারা অভিযোগ করেন,আলমগীর কবির বছরে এক-দুইবার ঢাকা থেকে ঈদের আগে অফিসে এসে লোহাগড়াসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরে সাংবাদিকদের মাধ্যমে হলুদ খাম দিয়ে চাঁদা আদায় করে সেই টাকা নিয়ে ঢাকায় ফিরে যান।
স্থানীয় সাংবাদিক মহল থেকে জানা গেছে,আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে লোহাগড়া উপজেলায় একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে এবং তিনি জেলও খেটেছেন।এমনকি তার কম্পিউটার ও ক্যামেরায় দলীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকায় অফিসে না এসে পিয়নের মাধ্যমে কম্পিউটার সরিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
সাংবাদিক কামাল হোসেনের দাবি,আলমগীর কবির নিজেই তাকে ফোনে জানিয়েছেন যে,অফিসের পিয়ন কম্পিউটার নিয়ে যেতে পারে।এ সংক্রান্ত কল রেকর্ডিং তার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানা যায়।
মিথ্যা মামলায় হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিক শ ম কামাল হোসেন ও রিয়া শারমিন আলমগীর কবিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।