ধুনট উপজেলার ইছামিত নদীর পারধুনট-মাদারভিটা ঘাটে পারাপারের একমাত্র ভরসা বাঁশের তৈরী সাঁকোটি ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির কারণে নদীতে পানি বেড়ে যাওয়া স্রোতের সঙ্গে প্রচুর কচুরিপনা আসায় বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ফলে নদী পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছেন অন্তত ১০ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার পর থেকে ইছামতি নদীর উপর নিজেরাই বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করে যাতায়াত শুরু করেন এলাকার মানুষ।ফলে দুই পারের ছেলে-মেয়েরা এই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে।প্রতিবারই নিজেদের উদ্যোগেই বাঁশ দিয়ে তৈরি সাঁকোটি মেরামত করতে হচ্ছে তাদের।এখানে কবে সেতু হবে,তাও জানেন না কেউ এলাকাবাসী।
এলাকা বাসির দীর্ঘদিনের দাবি এখানে একটি সেতুর। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের উচ্চমহলে বারবার ধর্না দিয়ে আশ্বাস মিললেও সেতু বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।সেতু না থাকায় যাতায়াত,উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে আনা-নেয়া, অন্যান্য মালামাল বহনে ভোগান্তি ও অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে।শুধু বাঁশের একটি সাঁকো অত্র অঞ্চলের মানুষের একমাত্র ভরসা।
কৃষিসমৃদ্ধ এই এলাকায় আজও তেমন আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি।এখানে একটি সেতু নির্মিত হলে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে।মাদারভিটা গ্রামবাসি জানান, নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উজান থেকে কচুরিপানা আসতে থাকে।যা ভাটির দিকে যেতে ওই স্থানে থাকা বাঁশের সাঁকোতে বাধাগ্রস্ত হয়।
এ অবস্থায় লোকজন ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে গন্তব্যে চলাচল করতে থাকেন।তবে গত শনিবার বিকেলে কচুরিপানার সঙ্গে স্রোতের অতিরিক্ত চাপে সাঁকোটি ভেঙে যায়। এতে জনসাধারণের চলাচলে মারাত্মকভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র পথ এটি।
লোকজন এই সাঁকোটি পার হয়ে ধুনট সদরসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে থাকেন।হাসপাতালে সেবা নিতে যাওয়া মানুষকে প্রায় তিন কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে।ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন বলেন,সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।ওই ঘাট দিয়ে মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।