নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবিলী ইউনিয়নের ১নং সুইচ গেইট থেকে মুজিবনগর পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ কাঁচা রাস্তা।স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন,ছোট বড় গর্তে ভরা এই রাস্তায় বর্ষার মৌসুমে কোনোরকমে চলাচল করা গেলেও শুকনো মৌসুমে বেড়িবাঁধের উপর বালির কারণে চলাচল করা মোটেই সম্ভব নয়।তাছাড়া বর্ষা মৌসুমেও বিভিন্ন যানবাহনের চাকা গর্তে আটকে যাচ্ছে।ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।স্থানীয়দের দাবি,দ্রুত এই রাস্তা পাকা বা সলিং করা হোক।খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই পথে একরামনগর,দশের দোকান,পাংখার বাজার,১নং সুইচ গেইট,মন্নান সারেং দোকান, পন্ডিতের হাট,হারিছ চৌধুরী বাজার চরজুবিলী ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হয়।প্রতিদিন পাঁচ গ্রামের মানুষ হেঁটে,মোটরসাইকেলে,বাইসাইকেলে চলাচল করে।এলাকার চাষিরা উৎপাদিত সবজি বিভিন্ন বাজারে আনা-নেওয়া করেন রিকশা,ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট ছোট বিভিন্ন যানবাহনে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানান,এ অঞ্চলের সবজি সারা দেশে সরবরাহ করা হয়।এরাস্তা দিয়ে প্রতিদিন পথচারী, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা এবং চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত সবজি বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে আনা নেওয়া করে।বর্ষা মৌসুমে,এই রাস্তার ছোট বড় গর্তে পানি জমে যায়।তখন গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা,হেঁটেও চলাচল করা দায়।শুকনো মৌসুমে ধুলাবালিতে চলাচল করা কঠিন।অধিক বালির কারণে শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই রাস্তায় চলাচল করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।ফলে স্বাভাবিকভাবে চলাচলের আর উপায় থাকে না। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না এই অচলাবস্থার কারণে, হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।তাছাড়া রাস্তার ছোট-বড় গর্তে ঘটছে দুর্ঘটনা।