দক্ষিণ সুরমার খোঁজারখলা এলাকার জিঞ্জির শাহ এর মাজার সংলগ্ন ও খেয়া ঘাট কাশেম ও তার মেয়ে জিয়াছমিন লোকজন হাত কাটা তমিজ নেপথ্যে অবাধে চলছে অবৈধ ভারতীয় শিলংতীর টুকন ভারতীয় ‘শিলংতীর’ নামক মোবাইলে খেলা। বিভিন্ন মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে এ জুয়া খেলা চালিয়ে আসছে তারা।এতে এলাকার নিরীহ ও গরিব লোকজন হচ্ছেন সর্বস্বান্ত।দীর্ঘদিন থেকে এই সংঘবদ্ধ জুয়াড়িচক্র সিন্ডিকেট গঠন করে এ জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে কাশেম ও জাছমিন তার সহজুগি হাত কাটা তমিজ সহযোগিরা আর ও অনেকে।ভারতীয় ‘শিলং তীর’ নামে এ জুয়া খেলায় মোবাইলে গুটির টোকেন বিক্রি চক্রটি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিদিন।এলাকার উঠতি বয়সী তরুণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ক্রমেই বিপথগামী হচ্ছে।
দীর্ঘদিন থেকে এ জুয়া খেলা চললেও প্রশাসন নীরব।জুয়াড়ি চক্রের সদস্যরা স্থানীয় এবং ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এ অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা করছে এলাকার সচেতন মহল। বর্তমান সরকার মাদকের বিরোদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা দিয়েছে।মাদক-জুয়াখেলাকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ-র আসপাসের কয়েকটি এলাকায় বিস্তৃত রয়েছে অবৈধ জাছমিনের মোবাইল শিলং তীর।লালাবাজার নাজির বাজার রশিদ পুরসহ জুয়ার মোবাইলে গুটি টোকেন কেটে যাচ্ছে এই চক্র।জুয়াড়িরা তাদের নিয়োগকৃত এজেন্টের মাধ্যমে এ জুয়া খেলা অব্যাহত রেখেছে।জুয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে জুয়াড়িদের খপ্পড়ে পড়ে রিকশাচালক থেকে শুরু করে,ছোট ছোট দোকানদারসহ নিন্ম আয়ের লোকজন প্রতারিত হচ্ছেন।
জুয়াড়িদের প্রলোভনে পা বাড়িয়ে টাকা পয়সা হারিয়ে অনেকে এখন দিশাহারা স্বল্প আয়ের লোকজন সারাদিন কষ্ট করে টাকা উপার্জন করলেও তারা ঘরে খরচাপাতি না করে রোজগারকৃত এসব টাকা দিয়ে মোবাইলে জুয়া খেলছে প্রতিদিন।এ নিয়ে তাদের পরিবারে দেখা দিয়েছে অশান্তি।জানা যায়, জুয়াড়ি কাশেম ও তার মেয়ে জাছমিন মোবাইলের মাধ্যমে মোবাইলে তীর খেলার টোকেন ক্রয় করে লোকজন। ১০টাকায় ৭০০ টাকা ১শ’ টাকায় ৭ হাজার ৫শ’ টাকা, ১ হাজার টাকায় ৭৫ হাজার টাকা পাওয়া যাবে- এমন প্রলোভন দেখিয়ে তারা এ জুয়া খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। এমন প্রলোভনে পা দিয়ে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছেন অসহায় ও গরিব লোকজন।আর ‘আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’ হচ্ছে জুয়াড়িরা।এই জুয়া খেলার প্রতিবাদে সম্প্রতি এলাকাবাসী জোর প্রতিবাদ জানিয়ে ছিলেন।কোনো কাজ হয়নি বলে জানান এলাকাবাসী।
এ ব্যপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন আমি ওমরাহ হজ্বে ছিলাম গতকাল এসেছি।এসব জুয়াড়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান আছে,এসব আগাছা আমরা সবসময় পরিষ্কার করে রাখি,আমার অবর্তমানে যদি আবার নতুনকরে গঁজায় তাহলে তা পরিষ্কার করা হবে, এতে আপনাদের সাংবাদিক সমাজেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।