বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে দীর্ঘ ৫ বছর পর জমজমাট হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী জোড়গাছা গরু ছাগলের হাট।এ হাটে গরু ছাগল ছাড়াও ধান পাট হাঁস মুরগী দুধ কাচা বাজার মাছ মাংস সহ হরেক রকমের পন্য সামগ্রী পাওয়া যায়।সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শুক্রবার এই দুই দিন হাট বসে।গত ১৬ মে মঙ্গলবার ও ১৯ মে শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দূর দূরান্ত থেকে অনেক ক্রেতা বিক্রেতার ভির জমেছে এ হাটে।কয়েকজন গরু ছাগল ক্রেতা বিক্রেতার সাথে হাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ হাট বন্ধ থাকায় আমরা বিভিন্ন হাটে গরু ছাগল ক্রয় বিক্রয় করার জন্য যেতাম।ঐতিহ্যবাহী জোড়গাছা হাট চালু হওয়ায় আমরা এ হাটে গরু ছাগল সহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী ক্রয় বিক্রয় করার জন্য এসেছি।তাছাড়াও অন্যান্য হাটের তুলনায় এই হাটে টোলের পরিমান অতি সামান্য।ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হুমায়ূন কবির জানান,দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে ইজারা হলেও কিছু সিন্ডিকেটের কারনে ইজারাদার বন্ধ করে রাখে এই হাট।এই হাট চালু রাখার জন্য বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।বর্তমান ইউপি সদস্য শামিম জানান,এই হাট আগের মতো বড় পরিসরে রাখার জন্য আমরা এলাকাবাসী বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।পাশাপাশি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।হাটের ইজারাদার মিলন হোসেন জানান,দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর ধরে ইজারা হলেও এ হাট বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কারণে বন্ধ থাকে।আমি এ বছরের জন্য হাট ইজারা নিয়েছি। হাটের টোল অতি সীমিত রেখেছি।গরুর টোল ২০০ টাকা, ছাগলের জন্য ১০০ টাকা এবং লেখনির জন্য ২০ টাকা।এছাড়াও দূর দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রেখেছি।আমি আশা করি আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী জোড়গাছা হাট পূর্বের মতো আরও জম জমাট হবে।
মোঃ ফরহাদ হোসেন
বগুড়া প্রতিনিধি
০১৭৫৫৪২৭৭৯২